ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এইচএসবিসি সাসটেইনাবিলিটি লিঙ্কড লোন

বাণিজ্য ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২০
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এইচএসবিসি সাসটেইনাবিলিটি লিঙ্কড লোন

দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ (এইচএসবিসি) দেশের দ্বিতীয় সাসটেইনাবিলিটি লিঙ্কড লোন সম্পাদন করলো বাংলাদেশ স্টীল রি-রোলিং মিলস্ লি. (বিএসআরএম) এর জন্য। প্রায় ২৫০ কোটি টাকার (২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এই সাসটেইনেবল লোন দীর্ঘমেয়াদে বিএসআরএম’র জ্বালানী শক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের সঙ্গে সংযুক্ত।

নির্দিষ্ট কিছু পূর্বনির্ধারিত সূচক বা লক্ষ্যমাত্রা (এসপিটি) অর্জনের বিপরীতে এই সাসটেইনাবিলিটি লিঙ্কড লোন, ঋণগ্রহিতার সাসটেইনেবল উদ্যোগ সমূহকে তরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ঋণগ্রহিতা পূর্বনির্ধারিত সূচক বা লক্ষ্যমাত্রা (এসপিটি) অর্জনে সক্ষম হলে ঋণ-সূদের পরিমাণ চুক্তি মোতাবেক হ্রাস পাবে। এই ধরনের সাসটেইনাবিলিটি লিঙ্কড লোনের ফলে ঋণগ্রহিতা চুক্তির মেয়াদে তার প্রতিষ্ঠানের সাসটেইনেবিলিটি প্রোফাইল উন্নয়নে উৎসাহিত হবে।

চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানটির ভার্চুয়াল সেশনে প্রধান অতিথ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ আহমেদ আলী (নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম), আলীহোসাইন আকবরালী (চেয়ারম্যান বিএসআরএম), জনাথান ড্রিউ (ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইনভারনমেন্টাল, সোস্যাল ও কর্পোরেট গভারনেন্স (ইএসজি) সল্যিউসন্স এইচএসবিসি), মো. মাহবুবউর রহমান (সিইও, এইচএসবিসি বাংলাদেশ), কেভিন গ্রীন (কান্ট্রি হেড অফ হোলসেল ব্যাংকিং এইচএসবিসি বাংলাদেশ) ও অন্যান্য আমন্ত্রিত কর্মকর্তা ও সুধিজন।

প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আহমেদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ব্যাংকিং ক্ষেত্রে টেকসই অবকাঠামো প্রনয়ণ করা এবং সেটাকে মূল ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গ্রীন ব্যাংকিং ও সিএসআর কার্যকর করার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। খুব শীঘ্রই ব্যাংকসমূহের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অত্যাধুনিক টেকসই অর্থনৈতিক অবকাঠামো প্রনয়ণ করতে চলেছি। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক, গ্রীন প্রোডাক্টসমূহের অর্থনৈতিক খাতগুলোকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে সৌরশক্তি, বায়ো-গ্যাস ও এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ইত্যাদিতে ২০০ কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগ করেছে। ’ 

মো. মাহবুবউর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি এইচএসবিসি ক্লিন এনার্জি ও লো-কার্বন প্রযুক্তি নির্ভর অর্থায়ন ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে কার্বন নিঃস্বরণকে শূন্যে নামিয়ে আনার কঠিন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে, যা একটি শক্তিশালী ও টেকসই অর্থনীতি গড়তে সহায়ক হবে। বিশ্বব্যাপী আমাদের পরিব্যাপ্তি এবং সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প কার্বন অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছি। বিএসআরএম’র সঙ্গেও একত্রিত হয়ে সাস্টেননেবিলিটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। ’

বিএসআরএম’র চেয়ারম্যান আলীহোসাইন আকবরালী বলেন, ‘এইচএসবিসি’র মতো আমরাও সবসময় আমাদের শিল্পাঙ্গণে ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে সচেষ্ট। আমরা এইচএসবিসি’র সঙ্গে এই যুগোপযোগী ও উদ্ভাবনী কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে আনন্দিত। ’

বিএসআরএম সক্রিয়ভাবে কর্পোরেট সোস্যাল রিসপন্সিবিলিটি ও বিবিধ ক্ষেত্রে গর্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। শীর্ষস্থানীয় এই স্টীল ম্যানুফ্যাকচারার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও ব্রাজিল থেকে ১০০% রিসাইকেল্ড স্ক্র্যাপ আমদানী করে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য উদ্যোগসমূহের মধ্যে রয়েছে পরিবেশ রক্ষায় শিল্পবর্জ্য হ্রাসকরণ কার্যক্রম, বন সংরক্ষণ কার্যক্রম, অক্ষম বা ডিসেবেল্ড তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদান, জিনিয়াস স্কলারশীপ ও ওয়াটার কনজারভেশন প্রকল্পসমূহ্।

এর আগে, এ বছরই এইচএসবিসি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সাসটেইনাবিলিটি লিঙ্কড লোন প্রদান করে যার আওতায় স্কয়ার গ্রুপকে ১০০০ কোটি টাকার (১১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সাসটেইনেবল লোন দীর্ঘমেয়াদে রিনিউয়েবল এনার্জি বা নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।