ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিমাখাতে এনআইডি বাধ্যতামূলক হচ্ছে!

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
বিমাখাতে এনআইডি বাধ্যতামূলক হচ্ছে!

ঢাকা: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও কেওয়াইসি ফরম পূরণ বাধ্যতামূলক রয়েছে। একই বিধান চালু করা হচ্ছে বিমাখাতেও।

কালো টাকার বিনিয়োগ বন্ধে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে পলিসি করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশপাশি কেওয়াইসি ফরম পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

বিমাখাতে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের বিনিয়োগ বন্ধে বিনিয়োগকারীদের অর্থের উৎস সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। একই সঙ্গে ব্যাংকের মতো আমানতকারীদের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

প্রয়োজনীয় কাগজ হিসেবে গ্রাহক পরিচিতির জন্য নো ইউর কাস্টমার (কেওয়াসি) ফরম পূরণ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) এবং আমানত বা বিনিয়োগের উৎস সর্ম্পকে প্রমাণের দলিলাদি।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইআরডিএ) কাছে সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমাকারীর কাছ থেকে উল্লেখিত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি যে, অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং খাতের মতো বিমা খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ জমা-বিনিয়োগ করছে। কিন্তু কেওয়াসি ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন এবং অর্থৈর উৎস সর্ম্পকে কোনো তথ্য নেই। এর ফলে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এর জন্যই দুর্নীতি দমন কমিশন কেওয়াইসি ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন এবং অর্থের উৎস সর্ম্পকিত নথি সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন টেলিফোনে দুর্নীতি দমন কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার পুরো আর্থিক খাতের জন্য ই-কেওয়াইসি ফরম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। আমি শুনেছি আইডিআরএ এই নথি সংগ্রহের জন্য বিমা খাতের জন্য নীতিমালা তৈরি করছে, বিমাকারীরা অবশ্যই নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মেনে পলিসি করবে।

আমানতকারীদের টিআইএন সার্টিফিকেট সংরক্ষণের বিষয়ে শেখ কবির হোসেন বলেন, বিমা ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের জন্য বৈধভাবে অর্থ উপার্জন হওয়া প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কেবল বড় বিনিয়োগকারীদের নথিপত্র যাচাই করা হয়। আমি মনে করি যে, সবার আয়ের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান করা দরকার। বিমা সংস্থাগুলি পলিসিধারীদের তহবিলের বৈধতা যাচাই করতে সক্ষম হবে না। তবে বিনিয়োগের মেয়াদ শেষে চেকের মাধ্যমে যখন অর্থ ফেরত দেওয়া হবে সেখান থেকে সরকার তাদের আয়ের বৈধতা পরীক্ষা করতে পারে।

দেশে বর্তমানে ৭৬টি বিমা কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ বীমা করপোরেশন ও জীবন বীমা করপোরেশন নামে দুটি সরকারি বিমা কোম্পানি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।