ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লাগামহীন চালের বাজার, কমছে নতুন আলু-পেঁয়াজের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০
লাগামহীন চালের বাজার, কমছে নতুন আলু-পেঁয়াজের দাম ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম আরো বেড়েছে চালের। বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত।

মাছের দামও কিছুটা বাড়তি। তবে দাম কমেছে নতুন আলু ও পেঁয়াজের। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, ভোজ্যতেল, মাংস, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর-১ নম্বর বাজার, ২ নম্বর বাজার, ৬ নম্বর বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কলোনি বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৮০ টাকা, পাকা টমেটো ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি পিস লাউয়ে ১০ টাকা দাম বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।

হালিতে ১০ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, ছোট মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। দাম কমেছে নতুন আলু ও পেঁয়াজের। কেজিতে ১০ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পুরনো দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেড়ে আটাশ ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট প্রকারভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজার চাল ব্যবসায়ী খুরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছরে দেশে বন্যার কারণে ধানে ফলন কম হয়েছে। মজুদদার ও সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বেড়েছে। শুনছি সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে। আমদানি হলে চালে দাম কমাতে বাধ্য হবে মজুদদারেরা।

ডিমের দাম অপরিবর্তিত। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকা, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালি বা কক ১৮০ ও  ব্রয়লার মুরগি কেজি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে চিনি, মাংস, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম।

বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা।

এসব বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ১২০ থেকে ৬০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ২০০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মিরর কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গুঁড়া বাইলা ১২০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০, রিটা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুসলিম বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, একটু মাছের দাম বেড়েছে। আকারভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাছ সরবরাহ কম থাকায় বাজারে বাড়েছে মাছের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০
এমএমআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।