ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সকাল-বিকেল-রাতে রেডি হয়েই থাকে’

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২১
‘সকাল-বিকেল-রাতে রেডি হয়েই থাকে’

ঢাকা: ভালো রেডি দুধের প্রতিশ্রুতিতে ‘সকাল-বিকেল-রাতে রেডি হয়েই থাকে’ শিরোনামে ফার্ম ফ্রেশ আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের অন্যতম একটি ডেইরি ব্র্যান্ড ইউএইচটি দুধের নতুন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

শনিবার (২ জানুয়ারি) ফার্ম ফ্রেশ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শরীর ও মনের জন্য একটি আদর্শ খাবার হচ্ছে দুধ। শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশ থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ, এনার্জি বুস্ট করা, স্ট্রেস কমানো, মজবুত দাঁত, হাড় ও পেশি গঠনে এমনকি ওজন কমাতেও দুধ একটি অপরিহার্য খাবার। কিন্তু দুধের গুণগত মান সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে পারলে তবেই সেটিকে সর্বোৎকৃষ্ট উপাদেয় খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

দুগ্ধ চাষিদের থেকে সংগৃহীত দুধ বেশ কিছু ধাপ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পর বাজারে বিক্রির জন্য আসে। সেসব ধাপ ও প্রক্রিয়ায় দুধের গুণগত মান ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। দুধের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে তাই কিছু বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। যেই খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয় সেখানের দুগ্ধ চাষিরা ভালোভাবে গরুর লালন পালন ও দেখাশোনা করছে কিনা। যেই কোম্পানির দুধ হিসেবে তা বাজারে আসবে সেই কোম্পানির সঙ্গে দুগ্ধ চাষিদের কেমন সম্পর্ক। দুধ সংগ্রহের বিভিন্ন ধাপে গুণগত মান সম্পূর্ণভাবে ধরে রাখার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা হয়। খামার হতে চিলিং সেন্টার, চিলিং সেন্টার হতে ফ্যাক্টরি এবং সেখান থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে দোকান পর্যন্ত দুধ পৌঁছানোর প্রতিটি ধাপে দুধের মান সবসময় সঠিক রাখতে কী কী করা হয়।

আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড দুধের গুণগত মান সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে দুগ্ধ চাষিদের থেকে বাজারে আসা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুধুমাত্র ভোক্তাদের কাছে ভালো মানের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই নয়, দুগ্ধ চাষিদের উন্নয়নের লক্ষ্যেও তারা ভালো মানের দুধের উৎপাদন বাড়াতে নিরলসভাবে খামারিদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে যাচ্ছে।

দেশের ডেইরি ফার্মগুলো চাষিদের গরু লালন-পালনে সঠিক দিক-নির্দেশনা, স্বল্প মূল্যে গো-খাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসাসেবা দেওয়া, প্রয়োজনে বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার মতো সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে।

আকিজ ফুডের ডেইরি ব্র্যান্ড ফার্ম ফ্রেশ, খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি দুধ সংগ্রহ করার সময় নিজস্ব পরীক্ষাগারে প্রয়োজনীয় মাইক্রোবায়োলজিকাল ও অ্যাডাল্টেরেশন পরীক্ষার মাধ্যমে গুণগত মান নিশ্চিত করে থাকে। তারপর নিজস্ব চিলিং সেন্টারে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে দুগ্ধ শীতলীকরণের পর নিজস্ব ট্যাংকারে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় পরিবহন করে ফার্ম ফ্রেশের ফ্যাক্টরিতে আনা হয়।

ফ্যাক্টরিতে পুনরায় গুণমান পরীক্ষা করে দুধ রিসিভ করা হয়। সুইডেনের মেশিনে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এরপর আল্ট্রা হিট ট্রিটমেন্টে ১৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সুইডেনের অত্যাধুনিক মেশিনে প্রসেসিং করে ছয় স্তর বিশিষ্ট প্যাকেটে অ্যাসেপ্টিক ফিলিং পদ্ধতিতে প্যাকেটজাত করা হয়। এর ফলে কোনো প্রিজারভেটিভ ছাড়াই দীর্ঘদিন ইউএইচটি দুধের স্বাদ, ঘ্রাণ ও পুষ্টিমান অক্ষুণ্ণ থাকে।

এবারের ক্যাম্পেইনে ফার্ম ফ্রেশ ব্র্যান্ডটি দাবি করছেন আল্ট্রা হিট ট্রিটমেন্ট আর অ্যাসেপ্টিক প্যাকেজিংয়ের কারণে ফার্ম ফ্রেশ ইউএইচটি দুধ থাকে জীবাণুবিহীন আর জিংক, আয়রনে ভরপুর, এর কারণে যখন খুশি তখন খাওয়া যায়।

যে কোম্পানির দুধ নিয়মিত খাওয়া হয় সেই কোম্পানির এসব বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডেইরি কোম্পানিগুলোরও প্রয়োজন এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও ভোক্তাদেরকে অবগত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। তাই সবকিছু জেনে-শুনে এমন একটি ব্র্যান্ড বেছে নেওয়াই শ্রেয় যারা ভোক্তাদের এক বিন্দু পরিমাণ ভেজাল দুধ দিতেও দ্বিধাবোধ করে এবং দুধের বিশুদ্ধতা ও সর্বোৎকৃষ্ট মান সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।