ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টানা তৃতীয়বার ‘টপ এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো বিএটি বাংলাদেশ

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
টানা তৃতীয়বার ‘টপ এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো বিএটি বাংলাদেশ

ঢাকা: একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে টানা তৃতীয়বার আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘টপ এমপ্লয়ার বাংলাদেশ’এবং ‘টপ এমপ্লয়ার এশিয়া প্যাসিফিক সার্টিফিকেশন ২০২১’ অর্জন করেছে বিএটি বাংলাদেশ।

উপযুক্ত পরিবেশ, প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রতিষ্ঠানটিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

এ স্বীকৃতি বিএটি বাংলাদেশকে বিশ্বের ১১৯টি দেশের মর্যাদাপূর্ণ কোম্পানিগুলোর তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে।
        
কর্মীদের মেধা বিকাশ ও দক্ষতা বাড়াতে বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলোর গৃহীত ভূমিকা ও অবদান পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রতিবছর ‘টপ এমপ্লয়ার’ পুরস্কার দেয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘টপ এমপ্লয়ার ইনস্টিটিউট’। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বাংলাদেশের সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ‘টপ এমপ্লয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হয় বিএটি বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় পরের দুই বছরও নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আধুনিক কৌশল চর্চা, ব্যবস্থাপনা, কর্মীদের অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ, মূল্যায়ন এবং প্রযুক্তির ব্যবহারসহ ছয়টি ক্ষেত্রে প্রায় ৪০০ ধরনের কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনার মাধ্যমে বিএটি বাংলাদেশকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।  
 
এ পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়ে বিএটি বাংলাদেশ-এর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাদ জসীম বলেন, ব্যবসার বাইরে একটি কোম্পানি হিসেবে আমাদের মানবসম্পদ ও সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করার নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানবসম্পদকে আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করি, যা আমাদের পরপর তিনবার দেশের ‘টপ এমপ্লয়ার’ হবার গৌরব এনে দিয়েছে।

কর্মীদের মেধাবিকাশ ও দক্ষতা বাড়ানোর  প্রতি যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি, তা এ পুরস্কারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। এ পুরস্কার অর্জনে আমরা গর্বিত। এটি আমাদের কোম্পানির অভ্যন্তরের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নতুন মাইলফলক নির্ধারণে উৎসাহ যোগাবে।
    
১৯১০ সাল থেকে দেশে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বিএটি বাংলাদেশ। বর্তমানে এক হাজার ৫০০ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পরোক্ষভাবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তাল মেলানোর পাশাপাশি ব্যবসায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে এবং স্টেকহোল্ডারদের (গ্রাহক, সমাজ, কর্মচারী এবং শেয়ারহোল্ডার) সেবা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে বিএটি বাংলাদেশ নতুন এক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।