ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাল আমদানির এলসি খোলা যাবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
চাল আমদানির এলসি খোলা যাবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

ঢাকা: দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। এ জন্য বেসরকারিভাবে চাল আমদানির বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সময় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের (সচিবালয়ের বৈদেশিক সংগ্রহ শাখা) সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া সব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ওই তারিখের পর (৭ সেপ্টেম্বর) আর সময় বাড়ানো হবে না।

এলসি সম্পর্কিত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে (sasep@mofood.gov.bd) জানাতে হবে।

প্রসঙ্গত, চাল আমদানির জন্য গত ১৭ আগস্ট বরাদ্দ দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি খোলার জন্য দেয়া ১৫ দিন সময় ৩১ আগস্ট শেষ হয়েছে। ১৮ আগস্ট বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সময়ও শেষ হয়েছে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর)।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট ৪১ ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১০ হাজার টন, ১৮ আগস্ট ৬৯ প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৯১ হাজার, ২২ আগস্ট ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ২২ হাজার টন, ২৩ আগস্ট ৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৯৪ হাজার টন, ২৪ আগস্ট ৩৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৫৭ হাজার টন, ৩০ আগস্ট ৭৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ এক হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

কমানো শুল্কহারে ৭ দফায় মোট ৪১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ১৪ লাখ ৮৩ হাজার টন এবং আতপ ২ লাখ ১০ হাজার টন। আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে বলে বরাদ্দের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

সেই সঙ্গে বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এ সুবিধা আগামী আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর চাল আমদানিতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় আবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরাদ্দ দিয়ে তা আমদানির জন্য এ সংক্রান্ত চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে থাকে।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১,২০২১

জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।