ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে ডাল-আটা-মুরগির 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১
দাম বেড়েছে ডাল-আটা-মুরগির 

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ডাল, আটা ও মুরগির। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

অপরদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।  

শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০-৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৮০ টাকা ও কাকরোল ৮০ থেকেন ৬০ টাকা।

এসব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের দামে পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে প্রতি কেজি। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালের দাম ৫ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের তেল বিক্রেতা নাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে ভোজ্যতেল আগের কেনা দামে বিক্রি করছি। আমরা এখনো লিটার বিক্রি করছি ১৫০ টাকা। দুই-একদিনের মধ্যেই ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ৭ বড়ার সম্ভাবনা আছে। নতুন তেল বাজারে ঢুকলে বাড়তি দামে বিক্রি হতে শুরু হবে।

এসব বাজারে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে বেড়েছে আটার দাম। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকায়। কেজিতে আটার দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা।  

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৮-১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।

মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫-১০ টাকা। বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়। লেয়ার মুরগি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৩৫ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদা কম। ক্রেতারা মুরগি কম কিনছেন। তবুও বেড়েছে মুরগির দাম। খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে মুরগির দাম।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
এমএমআই/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।