ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আরও সহায়তা-প্রণোদনা প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আরও সহায়তা-প্রণোদনা প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহনশীলতা ও সরকারের দৃঢ় নেতৃত্বের উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পৌঁছানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কোভিড-১৯ মহামারি আপাতত আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করেছে।

তা সত্ত্বেও এমন ক্রান্তিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া বিচক্ষণ আর্থিক এবং মুদ্রা নীতির কারণে আমরা চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে পরিচালনা করতে পেরেছি। জীবন ও জীবিকার মধ্যে দূরদর্শী ভারসাম্য নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্বাভাবিকতা ফিরে আসছে।    

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের নির্বাহী সচিব ভার্চ্যুয়ালি সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এমন কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

এ সময় তাদের মধ্যে আগামী ২০-২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য  সামষ্টিক অর্থনৈতিক কৌশল, দারিদ্র হ্রাস কৌশল এবং উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এমপিএফডি) সভায় বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশ নেওয়ার  বিষয়ে আলোচনা হয়।  

নীতিগত পরামর্শমূলক সেবা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে নানাভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করায় ইউনেসক্যাপের (UNESCAP) প্রতি কৃজ্ঞতা জানান অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতি সংস্থাটির সহায়তা আগামীতে আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের ২০২০ সালের অক্টোবরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে গড় ৪.৪% শতাংশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। সে সময়ে অল্প কয়েকটি ইতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী মহামারী প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সঠিক পথে রয়েছে। তারপরও, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা হ্রাস করার লক্ষ্যে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জকারী এলডিসিগুলোকে ট্রানজিশন এবং ট্রানজিশন পরবর্তী পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়া প্রয়োজন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন-২০৩০ এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করার জন্য চতুর্মুখী কৌশলের নীতি অনুমোদন করেছে। এখন আমরা এমন একটি উন্নয়ন পদ্ধতি অনুসরণ করছি যা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল এবং পরিবেশ বান্ধব। কারণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইউনেসক্যাপের ৭৭তম কমিশন অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এটি ঘোষণা করেছেন এবং নিশ্চিত করতে একে অপরকে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
 

অর্থমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন ইউনেসক্যাপ এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং ড্রাই পোর্টস উদ্যোগের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

তিনি থাইল্যান্ড, ভারত এবং মায়ানমারের ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে প্রকল্পে যোগদানের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ইউনেসক্যাপকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন। যার মাধ্যমে সংস্থার আঞ্চলিক এবং আন্ত-আঞ্চলিক উদ্যোগগুলো আরও জোরালো হবে।
 
এ সময় মিসেস আর্মিদা সালসিয়া আলিস জাহবান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবেলায় নিজ প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে অর্থমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও চাহিদাভিত্তিক সক্ষমতা নির্মাণ প্রকল্প সহায়তার মাধ্যমে ইউনেসক্যাপের কর্মপরিধি আরও বাড়ানোর আশা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
এমআইএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।