ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইকমার্সে প্রতারণায় আইনের পথে হাঁটতে চাই: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
ইকমার্সে প্রতারণায় আইনের পথে হাঁটতে চাই: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ইকমার্সে প্রতারণায় আমরা আইনের পথে হাঁটতে চাই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, এ ধরনের ফৌজদারি মামলায় আইন এতো দুর্বল যে অভিযুক্তদের বেশিদিন জেলেও রাখা যায় না।

এজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও মানিলন্ডারিং অ্যাক্টের মধ্যে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে সহজে জেল থেকে বের হতে না পারে।  

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

গ্রাহকরা ইভ্যালির সিইও রাসেলের মুক্তির বিষয় আন্দোলন করছে আদৌ রাসেলের মুক্তি সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নেন জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নিউজে এ বিষয়টা দেখেছি। যে কেউ ১০০ জন লোক জড়ো করে এ রকম একটি স্লোগান দেওয়া কোনো ব্যাপার না। আর কাদের দিয়ে মুক্তির দাবি করিয়েছে, কীভাবে করিয়েছে, তারা রাসেলের লোকজন কিনা। সেটাও ভাবার বিষয়। আমরা আইনের পথে হাঁটতে চাই, সোজা কথা।  

তিনি বলেন, এসব ফৌজদারি ক্ষেত্রে আমাদের দেশের আইনজীবীরা বলেন, ৪২০ ও ৪০৬ এ দুটো আইন এত দুর্বল যে এদের বেশিদিন জেলেও রাখা যায় না। এজন্য আজকে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তিনি আইনের এমন কিছু ব্যাখ্যা দিতে চাচ্ছেন যাতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও মানিলন্ডারিং অ্যাক্টের মধ্যে এগুলো ঢুকাতে পারবেন। যাতে সহজে জেল থেকে বের হতে না পারে এবং একটা শক্ত অবস্থান তৈরি হবে। এ ধরনের আইন দিয়ে ফৌজদারি মামলা কার্যক্রম চলবে।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমরা ইকমার্স ব্যবসা বন্ধ করতে চাই না। দেশে যেখানে দুই হাজার ব্যবসায়ী ছিল না আজ সেখানে লাখো ব্যবসায়ী। এটা একটা পজিটিভ দিক। তারপরও আমরা মনে করি, যে সমস্যা হয়েছে সে বিষয়ে আমরা সাজেশন দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক সে আইন প্রয়োগ করেছে। মূল বিষয় হচ্ছে আমরা সমস্যাটা সমাধানের চেষ্টা করছি। যে ১০ থেকে ১২টি কোম্পানির নাম এসেছে তার মধ্যে তিনটির নাম সুনিদিষ্ট করে পেয়েছি। অন্যগুলোর মধ্যে আলিশামার্ট এখনও কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সেটাও দেখার চেষ্টা করছি। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয়, আমরা সেটা দেখছি।  

তিনি বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে এ ব্যবসা আমরা বন্ধ করবো না। ব্যবসা চালু রাখতে হবে। ১০ জনের জন্য লাখ লাখ ব্যবসায়ী নষ্ট করবো না। আমরা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করে ছিলাম ২০২৫ সালে আমরা ই-কমার্সে যে অর্জন করবো। সেটা করোনার জন্য অনেক আগেই হয়েছে। আমাদের যেমন পজিটিভ দিক রয়েছে। তেমনি খারাপ দিকটাও অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করছি।

প্রতিযোগিতা কমিশন থাকার পরও এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশন বিষয়টা নজরে নিয়েছে। তারা কিন্তু স্বপ্রণোদিত হয়ে একটা স্ট্যান্ড নিয়েছে। তারা ৭/৮ মাস আগে তাদের বিরুদ্ধে একটা মামলা করেছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।