ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চামড়া খাতে আগ্রহী সুইস উদ্যোক্তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
চামড়া খাতে আগ্রহী সুইস উদ্যোক্তারা শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড

ঢাকা: সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে চামড়া শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী।

রোববার (১০ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ সময় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সুইস রাষ্ট্রদূত জুরিখভিত্তিক একটি ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের চিঠি মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। সেই সঙ্গে নিজে সাভারের ট্যানারি শিল্পনগরী পরিদর্শনের আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।

সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সাভারের ট্যানারি শিল্পনগরীতে কেন্দ্রীয়ভাবে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে তাদের যে কোনো ধরনের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে।

১৯৭২ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানবিক উন্নয়নখাতে সুইজারল্যান্ড অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করছে। এছাড়া রসায়ন, ওষুধ, অবকাঠামো, কারিগরি সেবা এবং ভোগ্যপণ্যখাতে সুইস বিনিয়োগ উল্লেখ করার মত। তিনি এসব খাতে সুইস উদ্যোক্তাদের আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

সাক্ষাতকালে উভয়ে মেধাসম্পদ সুরক্ষায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের পেটেন্ট, ডিজাইন, পণ্য ও সেবার ট্রেডমার্কস্ এবং ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) ইত্যাদি ইস্যুতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কী ধরনের সহযোগিতা দরকার, রাষ্ট্রদূত তা জানানোর অনুরোধ জানান।  

শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাকখাতে আমদানি বৃদ্ধির জন্যও সুইস রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ এক দশকে প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে এবং আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সুইস ফেডারেল কাস্টমস্ প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে দুইদেশের মধ্যে প্রায় ৮১ কোটি  ফ্রাঙ্ক সমমূল্যের পণ্য লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৬৮ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক এবং আমদানি করেছে ১৩ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক মূল্যের পণ্য।

বাংলাদেশ সময় : ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০,২০২১
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।