ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চীন থেকে ৯ কোটি সিরিঞ্জ কেনা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
চীন থেকে ৯ কোটি সিরিঞ্জ কেনা হবে

ঢাকা: করোনার টিকাদানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে নয় কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।  

রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠকে চীন থেকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে টিকাদানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে নয় কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

চীন থেকে কেন কেনা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চায়না ছাড়া এখন এ মুহূর্তে এ বিপুল সংখ্যক সিরিঞ্জ সাপ্লাই দেওয়ার মতো কারো ক্যাপাসিটি নেই। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে যাওয়ার কারণ হচ্ছে সময়কে যতটা সংক্ষিপ্ত করা যায়। কারণ একদিকে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে ভ্যাকসিন চলে আসবে। কিন্তু সিরিঞ্জ না থাকলে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। সেজন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হয়েছে।  

প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১৩ কোটি ৮২ লাখ লোককে টিকাদানের লক্ষ্যে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ২৭ কোটি ৬৪ লাখ সিরিঞ্জ প্রয়োজন। প্রতি মাসে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওযার লক্ষ্যে নয় কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ জরুরি ভিত্তিতে ক্রয় করতে হবে।

এমতাবস্থায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬-এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮-এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) প্রস্তাবিত নয় কোটি এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ চায়না ন্যাশনাল ফারমাসিটিকাল ফরেন ট্রেড করপোরেশন থেকে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য প্রতিস্থাপক হিসেবে ৫০টি গাড়ি ক্রয়ের লক্ষ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কর্তৃক ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সরকারি ও দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য জিপ গাড়ি ক্রয় করে বরাদ্দ দিয়ে আসছে। পুরাতন জিপগুলো আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় মেরামত করে প্রশাসনিক ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় গতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে।  

প্রতিস্থাপক হিসেবে ৫০টি জিপ গাড়ি উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় সাপেক্ষ বিধায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্য ৫০টি মিৎসুবিশি পাজেরো স্পোর্ট কিউ এক্স জিপ গাড়ি সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ থেকে পিপিএ ২০০৬-এর ৬৮(১) ধারা এবং পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।