ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরাতে আইনি জটিলতা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরাতে আইনি জটিলতা  ই-কমার্স নিয়ে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

ঢাকা: গত জুলাইয়ের পর এসক্রো সার্ভিস বা গেটওয়ে পেমেন্ট সিস্টেমে গ্রাহকদের আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা ফেরাতে আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-কমার্স নিয়ে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আটকে থাকা টাকার আইনি জটিলতার বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। একটু সময় লাগবে, সে লক্ষে আমরা কাজ করছি। একই সঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্লাটফর্মকে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে আইসিটি মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দীন, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্তমর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু সিদ্ধান্তও নিয়েছি। সেগুলো বাস্তবায়নের কিছু সময়ের প্রয়োজন। আজকে যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে তারমধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা এটা দেখবেন। নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, জুলাই থেকে যাদের টাকা আটকে আছে, সে টাকাগুলো যেন তাদের কাছে ফেরত যায়। এ বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।  

তিনি বলেন, কেবিটেন থেকে আমাদের একটি কমিটি করে দিয়েছে তারাও কাজ করছে। আপাতত বলা চলে, সব বিষয়গুলো একটি সিস্টেমের মধ্যে আনতে আমাদের মাস তিনেক লেগে যাবে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী চেষ্টা করলে দুই মাসের মধ্যে পারবে বলে আমার মনে হয়।  

কতো দিনের মধ্যে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, আমরা এসক্রো সার্ভিস নিতিমালা প্রণয়ন করেছি ৩০ জুন। তাই পহেলা জুলাই থেকে যে সব ট্রানজেকশন হয়েছে তার বিপরীতে স্পেসিফিক টাকাগুলো ব্লক করা আছে। যেটা ডেলিভারি হয়নি, সে টাকাটা পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে। সুতরাং কাস্টমারও চিহ্নিত ও টাকার পরিমাণও চিহ্নিত। ২১৪ কোটি টাকা। আইনি জটিলতা সমাধান করে টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।  

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গেটওয়েতে যে টাকা আছে সেটা কিভাবে ফেরত দেওয়া যায়, সেবিষয়ে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আদালত একটা কমিটি করে দিয়েছে। আমাদের হাতে কিছু নেই। পাঁচজনকে দিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। সব কিছু নির্ভর করে আদালতের ওপর। আমরা শুধু চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, একটা পথ শুরু হলো যাদের টাকা আটকে আছে, সেটা ফেরত দেওয়া সিস্টেমের মধ্যে আসবে। আর নতুন করে যদি কেউ টাকা দেয়, সেটা যদি কোনো কারণে আটকে যায়, তাহলে সেটা একই সিস্টেমে ফেরত পাবে।  

এসক্রো সার্ভিস যদি অটোমেটিক না হয় তাহলে সমস্যা থেকেই যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অটোমেটিক করার জন্যই আজকে এ সভা করা হলো।

জুলাইয়ে আগের টাকার বিষয়ে এ সিস্টেম প্রযোজ্য নয় কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, যে টাকা এসক্রো অ্যাকাউন্টে আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে। যে টাকা ই-কমার্স কোম্পানিগুলো নিয়ে গেছে সে টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নেই, সেটাতো দিতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
জিসিজি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।