ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পৌরকর দিতে অনীহা, বকেয়া আড়াই কোটি

বদরুল আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
পৌরকর দিতে অনীহা, বকেয়া আড়াই কোটি

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌরসভার কর বকেয়া পড়েছে আড়াই কোটি টাকারও বেশি। শুধু ৪৭টি সরকারি প্রতিষ্ঠানেই পৌরসভার কর বাকি ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৬২৮ টাকা।

 

এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাকির পরিমাণ আরও ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার।

দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার পরও দুই থেকে তিন বছর ধরে পৌরকর পরিশোধ করেনি ১৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এজন্য নাগরিক সেবা নিশ্চিতে আর্থিক অসুবিধায় ভুগতে হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটিকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের পৌরকর বকেয়া পড়েছে ২১ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া জেলা পরিষদের ৩ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৫, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসের ৩ লাখ ২৪ হাজার, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৮৮, গনপূর্ত বিভাগের ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৫, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিসের ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০, হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ৯৬ হাজার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা পৌরকর বকেয়া রয়েছে। এগুলোসহ শুধু সরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌরসভার কর বকেয়া ৪২ লাখ ১ হাজার ৪৭৫ টাকা।

পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪৭টি সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের কর বকেয়া পড়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৫৩ টাকা। আগের বকেয়া ও চলতি বকেয়াসহ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর বাকি ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৬২৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানে বাকি আরও ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বাকির পরিমাণ ২ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ টাকা।

বকেয়া কর আদায়ের জন্য তিনদিনব্যাপী মেলা আয়োজন করেছে হবিগঞ্জ পৌরসভা। গত মঙ্গল ও বুধবার দুইদিনে আদায় হয়েছে মাত্র ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬৭ টাকা।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভার এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় চলতি বছরের কর দিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তবে সরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠান দুই থেকে তিন বছর ধরে কর দিচ্ছে না। দফায় দফায় চিঠি দিলেও তারা কর পরিশোধ করেনি। এজন্য পৌরবাসীর সেবা নিশ্চিতে পৌরসভাকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।