ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উদীয়মান উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২১
উদীয়মান উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি ...

ঢাকা: ২০১৬ সালে শুরু করা লেদারিনা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সিইও তাসলিমা মিজি বলেন, আমি খুবই আনন্দ নিয়ে ক্লায়েন্টের জন্য নতুন ডিজাইন বানাই। ভিন্নধর্মী চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে তার নিজস্ব ব্রান্ড ‘গুটিপা’ বাংলাদেশসহ কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও সুনাম কুড়িয়েছে।

তাসলিমা বিশ্বাস করেন বাংলাদেশি চামড়া প্রাকৃতিকভাবেই উন্নতমানের। এর সঙ্গে সৃজনশীল ডিজাইন এবং কর্মীদের কর্মদক্ষতার সমন্বয়ে তারা বানান চমৎকার সব পণ্য। বাংলাদেশি হস্তশিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং কারিগরদের জন্য উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তাসলিমা।

তাসলিমা জানান, শুরুতে আমাকে অনেক মেহনত করতে হয়েছে। মানুষ আসলে মেয়েদের সবসময় বুটিক বা পার্লার চালাতে দেখে অভ্যস্ত। তারা ভাবেনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের কখনও কোনো মেয়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাকে এসব পুরনো ধ্যানধারণার সঙ্গে যুদ্ধ করে আসতে হয়েছে।

পেশা বদলের কারণে উদ্যোক্তা হিসেবে তার যাত্রা শুরু থেকেই বন্ধুর হয়ে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করে তিনি প্রথমে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ছয় বছর পর মাতৃত্বের দায়িত্ব ঘাড়ে এসে পড়ায় তাকে ফুল টাইম চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে হয়। নিজের সুবিধামত সময়ে কাজ করার তাড়না থেকেই তিনি লেদারিনা শুরু করেন। লেদারিনার হাজারীবাগের কারখানাতে ৫০ জনেরও বেশি কর্মী কাজ করেন যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই মহিলা।

অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মতন তাসলিমার ব্যবসায়ও প্যান্ডেমিকের প্রবল ধাক্কা এসে পড়ে। কিন্তু তিনি কৌশলে তা থেকে বের হয়ে আসেন। স্বাস্থ্যসেবায় অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন ফেস মাস্ক, হেড কভার এবং পিপিইসহ ইত্যাদি তৈরি শুরু করেন। ২০২০ এর শুরুতে করা করপোরেট কানেক্ট ট্রেইনিং তাসলিমাকে কৌশলগত পরিকল্পনা করতে এবং আত্মবিশ্বাস পেতে অসম্ভব সাহায্য করেছে।

প্যান্ডেমিকের শুরুতে তাসলিমা স্বাস্থ্যসেবার জন্য অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করে তার ব্যবসা টিকিয়ে রাখেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি আবার ব্যাগসহ চামড়াজাত পণ্যের অর্ডার পেতে শুরু করেন এবং তার ব্যবসা পূর্ণ উদ্যমে চালু হয়ে ওঠে।

তাসলিমা বলেন, একটি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে যে ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা মোকাবিলায় আমার করপোরেট কানেক্ট ট্রেইনিং কাজে লাগে। কীভাবে নেটওয়ার্কিং এবং দক্ষতা একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে ব্যবসাকে নতুন দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাও আমি এই ট্রেইনিং থেকে শিখতে পেরেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।