ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পকেট খালি করেও ভরছে না বাজারের ব্যাগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
পকেট খালি করেও ভরছে না বাজারের ব্যাগ

ঢাকা: বাজারে শীতকালীন আগাম সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম একটু বেশি। বলা যায়, শীতকালীন আগাম সবজির দাম এখনও সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

তবে কিছু কিছু সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, ধানমণ্ডির বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।  

বাজারে কাঁচা মরিচ এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে শীতের আগাম নানা প্রকারের সবজি চলে এসেছে। তবে পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে অনেক বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি শিম পাইকারি বাজারে খুচরা ৬০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স খুচরা ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি খুচরা ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৪৫ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শালগম প্রতিকেজি ৬০, পাতাকপি প্রতিটি ৫০, আলু প্রতিকেজি ২৫-৩০, টমেটো ১৫০-১৬০, গাজর ১০০টাকা এবং মাঝারি সাইজের একটি লাউ ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লাউশাক, লালশাক, পালংশাক, মূলাশাক আটিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি। ফলে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না।

সবজি ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে কয়েকটি সবজির দাম। সরবরাহ কম থাকায় এই অবস্থা। কারওয়ান বাজারেও প্রতিটি সবজির দাম বেশি।

কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীতকালীন সবজিগুলো বাজারে এখন আগাম আসতে শুরু করেছে। তাই মূল্যটা একটু বেশি। তবে সরবরাহের সমস্যা কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

সবজির এমন দামে ক্রেতাদের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। বাজার করতে আসা মামুন আহমেদ বলেন, সবজির কোনো কমতি নেই। বাজারে শীতের সবজির কোনো অভাব নেই। সেই হিসাবে সব সবজিরই দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবকিছুরই দাম বেড়ে গেছে। কোনো রকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।

এদিকে স্থিতিশীল রয়েছে মাছ, মুরগী এবং মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এছাড়া ডিমের দামও বেড়েছে হালিপ্রতি ৫ টাকা।  

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ এবং প্রতিকেজি খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজি।

এদিকে মাছের বাজারে দেখা গেল ক্রেতা-বিক্রেতা খুব বেশি নেই, তবে দাম বেশ চড়া। এখানেও সরবরাহ স্বল্পতার কথা বললেন বিক্রেতারা। রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়ি মাছসহ সব ধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১ 
এইচএমএস/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।