ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বস্ত্র দিবসে সম্মাননা পেল ৭ প্রতিষ্ঠান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
বস্ত্র দিবসে সম্মাননা পেল ৭ প্রতিষ্ঠান ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: জাতীয় বস্ত্র দিবসে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পেয়েছে সাতটি প্রতিষ্ঠান।

শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

সম্মাননা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ার লুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতি।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম।

বক্তব্য রাখছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।  ছবি: শাকিল আহমেদ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বস্ত্র খাতে আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি। একসময় আমাদের দেশে কোনো সুতা বা কাপড় তৈরি হতো না। সেখানে আজ আমরা পোশাক রপ্তানি করি। এজন্য বস্ত্র খাতের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, পোশাক শিল্প হয়েছে বলেই আমাদের দেশে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পগুলো সুচারুরূপে গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশে আগে তাঁত ছিল, কোনো টেক্সটাইল মিল ছিল না। বস্ত্র খাত এগিয়ে যাওয়ায় আমাদের দেশে এখন টেক্সটাইল মিল গড়ে উঠছে। তবে এ খাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ কিছু সমস্যা রয়েছে, সেটা আমি জানি। সেটা মন্ত্রণালয় বসে সমাধানের চেষ্টা করছি। আপনারা আসেন, সমস্যাগুলো আমাদের বলেন। আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো।

বক্তব্য রাখছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম।  ছবি: শাকিল আহমেদ

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব এই বস্ত্র খাতের। ৮০ দশকের আগে বস্ত্র খাতের এ অবস্থা ছিল না। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য এই খাত এগিয়ে গেছে। সরকার শুধু একটা নীতিমালা দিয়ে এ খাত পরিচালিত করতো। জননেত্রী শেখ হাসিনার  সরকার এ খাতের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ টেক্সটাইল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়েছেন। বস্ত্র খাতকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিটিএমইএ সভাপতি আলী খোকন, বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম আলী, বিজিবিএ সভাপতি ইফতেখার হোসাইন, বিএসটিএমপিআইএ সভাপতি আজিজুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

‌বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
জিসিজি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।