ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশকে ভালোবাসতে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করে চলচ্চিত্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
দেশকে ভালোবাসতে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করে চলচ্চিত্র বক্তব্য রাখছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

ঢাকা: এফবিসিসিআই সভাপতি মো.  জসিম উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের এখনও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ফুটে ওঠে একটি দেশের ইতিহাস, অতীত ও বর্তমানের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।

এফবিসিসিআই আয়োজিত ১৬ দিনব্যাপী ‘বিজয়ের ৫০ বছর: লাল সবুজের মহোৎসব’ এর  ১১তম দিনের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত হয়েছে অনেক পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। শিল্পীরা তাদের নিপুণ অভিনয় দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস। যা নতুন প্রজন্মকে এদেশকে ভালবাসতে উজ্জ্বীবিত করে।


রাজধানীর হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে লাল সবুজের মহোৎসবে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ছিল চলচ্চিত্র তারকাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সবকিছুর ধারাবাহিকতা রক্ষায় চলচ্চিত্র শিল্পীরা তাদের অবদান রেখে আসছেন। মূলত ১৯৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে এদেশের জাতীয়তাবাদী চেতনার অন্যতম মাধ্যম। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে গণজাগরণে তখনকার চলচ্চিত্রের অবদান অনস্বীকার্য। চলচ্চিত্রের গুরুত্ব অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব করেন। দিনটির স্মরণে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর এপ্রিলের ৩ তারিখে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস পালন করা হয়।

শনিবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের ২৩ বছরের ইতিহাসে বাঙালীদের কাউকে কোনো চাকরি দেওয়া হতো না। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাঙালীরা ব্যবসায়ী হতে পারতেন না। বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিকাশ যাতে না ঘটে, সেজন্য বাংলাদেশে কোনো চলচ্চিত্রশিল্প গড়ে উঠতে দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালীরা গণআন্দোলনে নামে। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দুরন্ত গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী দেশ শাসনের কারণেই এখন আর বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই, খাদ্যাভাব নেই।

অতিথিদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে,  পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

১৬ দিনব্যাপী এই উৎসবের ১২তম দিনে ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে লোকসংগীত উৎসব। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১,২০২১
এসই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।