ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিসেম্বরের মধ্যে কিস্তি না দিলে খেলাপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
ডিসেম্বরের মধ্যে কিস্তি না দিলে খেলাপি

ঢাকা: কোনো ঋণ গ্রহীতা প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে ওই মাস থেকে ঋণ যথানিয়মে খেলাপি হয়ে যাবে। তবে এই সময়ে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে ভবিষ্যতে আদায় করা মুনাফা আয়খাতে স্থানান্তরও করা যাবে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এই নির্দেশনার ফলে ২০২২ সালের শুরু থেকেই ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বাড়বে। বর্তমানে ব্যাংকিংখাতে খেলাপি ঋণ ১লাখ কোটি টাকারও বেশি।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, মহামারি কোভিড-১৯ এর আওতায় সুবিধাপ্রাপ্ত যে সব ঋণের বিপরীতে চলতি বছরের জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় অর্থের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদায় হবে সে সব ঋণ ডিসেম্বর মাস ভিত্তিক অশ্রেণিকৃত হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঋণের বিপরীতে ভবিষ্যত আদায় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২১ সালের আরোপিত মুনাফা আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে। তবে কোনো ঋণ গ্রহীতা কিস্তির ২৫ শতাংশ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে এ সুবিধা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে এবং ডিসেম্বর ভিত্তিকই ঋণ যথানিয়মে শ্রেণিকরণ করতে হবে।

চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক হিসাব চূড়ান্ত করার সময়ে বিআরপিডি সার্কুলারের (১৯/২০২১) আওতায় সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় রক্ষিতব্য জেনারেল প্রভিশনের অতিরিক্ত আরও ২% জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে এবং উক্ত প্রভিশনকে ইতোপূর্বে সৃষ্ট ‘বিশেষ সাধারণ প্রভিশন-কোভিড-১৯’ হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ‘বিশেষ সাধারণ প্রভিশন-কোভিড-১৯’ হিসাবে রক্ষিত প্রভিশন অন্য কোনো খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। যে সব ঋণ নগদ আদায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সমন্বয় হয়েছে সেসব ঋণের বিপরীতে ইতোপূর্বে সংরক্ষিত অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রভিশন আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে। সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ/বিনিয়োগের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি (ঋণ গ্রহীতার নাম, ঋণ স্থিতি, আরোপিত মুনাফা, আয়খাত ও ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসাবে স্থানান্তরিত মুনাফা, অতিরিক্ত প্রভিশনের পরিমাণ ইত্যাদি) সংশ্লিষ্ট শাখায় এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে সংরক্ষণ করতে হবে।
শ্রেণিকৃত ও পুনঃতফসিলকৃত ঋণ পুনর্গঠিত ঋণ পুনঃতফসিলকরণ বা এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণসহ যে সব ক্ষেত্রে আরোপিত মুনাফা আয়খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি-নিষেধ রয়েছে, সেসব ঋণের বিপরীতে আরোপিত মুনাফা নগদ আদায় ব্যতিরেকে কোনভাবেই আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
এসই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।