ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভর্তুকি দেওয়ায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ দ্রুত হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
ভর্তুকি দেওয়ায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ দ্রুত হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: ভর্তুকি বা প্রণোদনা দেওয়ার ফলে দেশে দ্রুত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে কৃষকদের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সেমিনার হলে ‘কৃষির টেকসই উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আইইবি ও এক্সপোনেট এক্সিবিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিজ্ঞানীরা প্রচুর আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। আমনের স্বল্পজীবনকালের ধান উদ্ভাবন করেছেন। ফলে আমন ও বোরো মৌসুমের মাঝের সময়ে সরিষা আবাদ সম্ভব হচ্ছে, এটি একটি অতিরিক্ত ফসল ও নতুন ক্রপিং প্যাটার্ন। খড়া ও লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়েছে কয়েকদিন আগে। উপকূলে দুই মিলিয়ন হেক্টর লবণাক্ত জমি রয়েছে। সেখানে লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের চাষ করে বছরে দুটি ফসল করা গেলে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা টেকসই হবে। এছাড়া ব্রি সম্প্রতি ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার তৈরি করেছে, যা দামে অনেক কম ও দেশের জমিতে ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী।

বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রযুক্তিগুলো মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এসব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠে যাচ্ছে খুবই ধীর গতিতে। আপনাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠে না গেলে, কৃষক সুফল না পেলে সেগুলো উদ্ভাবন করেও কোনো সুফল পাওয়া যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে এখন উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। সেগুলোকে কীভাবে তাড়াতাড়ি দেশে ব্যবহারোপযোগী করা যায়, উৎপাদনের কাজে লাগান যায়, তা দেখে ব্যবস্থা নিন। আমরা সরকার থেকে সবোর্চ্চ সহায়তা দেব। কিন্তু কাজটা আপনাদের করতে হবে।

শুধু আমদানি নির্ভর না হয়ে দেশে যন্ত্রপাতি তৈরিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক কোম্পানি কৃষি যন্ত্রপাতি বিক্রি করছে। এ বাজার এখন বিশাল। সেচযন্ত্র, ধান কাটার কম্বাইন হারভেস্টারসহ বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেউ  বাংলাদেশে এসব প্রস্তুত করছে না, অ্যাসেম্বল করছে না। সবাই বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রি করছে।

আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সবুর, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌ. মো. হোসাইন, স্রেডার সদস্য সিদ্দিক যোবায়ের, আইইবি’র  সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. শাহাদৎ হোসেন, এক্সপোনেট এক্সিবিশনের চেয়ারম্যান আলী রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের অধ্যাপক প্রকৌ. চয়ন কুমার সাহা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।