ঢাকা: বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও গ্রামে কিচেন মার্কেট তৈরিতে ভারত অর্থায়ন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মার্কেটগুলো আমরা করবো তবে অর্থায়ন করবে ভারত।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী সুলভ বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের। আজকে ভারতের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। উভয় দেশের মধ্যে যে নিবির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে সে সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। উভয় দেশই নিজ নিজ দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবো ও স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত সরকার আমাদের উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে চায়। আর্থিকভাবে তারা অবদান রাখতে চায়। বিশেষ করে কিচেন মার্কেট তৈরিতে বিনিয়োগ করতে চায়, সেখানে তারা একটা বড় প্রস্তাব দিয়েছে ও আলোচনা করেছে। যখন তারা এ বিষয়ে আমাদের জানাবেন তখন আমরা উদ্যোগ নেবো।
এ কিচেন মার্কেট সম্পর্কে তাদের কনসার্ন কী জানতে চাইলে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামে, পৌরসভা বা উপজেলায় যেসব জায়গা রয়েছে সেখানে সবজি ও মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আমরা জেলায় করছি কিছু। এখন তারা তাদের পক্ষ থেকে করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
এসব বাজারে নিত্যপণ্য কী তারা আনবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বাজারে তাদের নিত্যপণ্য আনবে না, আমাদেরটাও তারা নেবে না। সেখানে শুধু অভ্যন্তরীণভাবে স্থানীয় জনগণের উৎপাদিত তৈরি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হবে। বর্তমানে ক্রয়-বিক্রয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে হয়। সেটাকে একটা কাঠামোর ভেতরে সুন্দরভাবে যেন হয় সেজন্য তারা কিচেন মার্কেট তৈরি করে দেবে।
কিচেন মার্কেটগুলো কী নিদিষ্ট কোনো জেলায় করতে চাচ্ছে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের ভালো সম্পর্ক আছে। এ সম্পর্কের কারণে প্রতিদিনই আমাদের কাছে কিছু বিদেশি সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীরা আসেন। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমাদের ও দেশের জন্য যেটা কল্যাণকর ও উপকারী সেগুলো আমরা গ্রহণ করি।
ভারত সরকার মার্কেট করে দেবে বিষয়টি কী এমন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মার্কেটগুলো আমরা করবো তবে অর্থায়ন তারা করবে। তারা আগে আমাদের চিঠি দেবে। তারপর আমরা সেটা দেখবো। তারপর তাদের সঙ্গে আমাদের নেগোসিয়েশন হবে, তারা হয়তো একটা মডেল দেবে, সেটা আমরা গ্রহণ করতেও পারি আবার নাও পারি। তারা বলেছে আমরা আমাদের নিজেদের মতো করলে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
অবকাঠামো উন্নয়ন খাতের জন্য কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য তাদের অন্য প্রকল্প আছে। সেগুলো নিয়ে তারা বিভিন্ন সময়ে সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলে। লাইন অব ক্রেডিটসহ যেসব প্রকল্প আমাদের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস