ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভালোবাসার গোলাপ ৭০ টাকা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
ভালোবাসার গোলাপ ৭০ টাকা! দোকানে বাহারি গোলাপ ফুল। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: বছর ঘুরে আসে একটি দিন ভালোবাসার। যদিও সব পক্ষের দাবি ভালোবাসতে কোন দিন ক্ষণ সময় লাগে না।

চাইলেই ভালোবাসা যায়।  

ফুল মানেই ভালোবাসা কারণ, ফুল ভালোবাসার প্রতীক। ভালোবাসা নিবেদনের জন্য প্রাচীনকাল থেকে কপোত-কপোতীরা ফুলকে বেছে নেন। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে। প্রিয়তমাকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে সাধ্যমত উপহার কিনছেন প্রেমিকরা। একইসঙ্গে কিনছেন ফুলও। ভ্যালেন্টাইন ডে-কে কেন্দ্র করে শহরের অলিগলিতে পসরা সাজিয়ে বসেছেন স্থায়ী-অস্থায়ী ফুল দোকানিরা।

আগের দিন রাত রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকেই শহরের ফুলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। রাতে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সরেজমিনে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীত পাশে অবস্থিত দোকানগুলোতে সকাল থেকেই ফুলের তোড়া তৈরি, ফুল বাছাই ও দোকান সাজানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন দোকানিরা। এছাড়াও শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার আশ-পাশে বেশ কিছু অস্থায়ী ফুলের দোকান লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ আবার অস্থায়ী ভ্যানে বিক্রি করছেন বাহারি রঙের গোলাপ ফুল।

এসব স্থায়ী-অস্থায়ী দোকানগুলোতে লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১শ টাকায়। এছাড়াও সাদা গোলাপ ৭০ থেকে ৮০ এবং ছোট আকৃতির লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। সূর্যমুখী ১শ টাকা ও গাঁদা ফুলের স্টিক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ছোট আকারের ফুলের তোড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। মাঝারি আকারের ফুলের তোড়া ৩০০ থেকে ৫০০ এবং বড় ফুলের তোড়া ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীতে ফুল দোকানের মালিক রাজন সাহা বলেন, আজ (সোমবার) অনেক দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে ফুল। যাতায়াত ভাড়া, আনুষাঙ্গিক খরচ তো আছেই। সব মিলিয়ে একটি গোলাপ ফুল ৭০ টাকার ওপরে বিক্রি করেছি। বছরে একটি বার আমাদের ব্যবসা ভালো হয়, সে হিসেবে একটু তো দাম হবেই। চাষাঢ়া শহীদ মিনার এলাকার ফুটপাথে অস্থায়ী ফুলের দোকানদার ইমরান বলেন, এখন পর্যন্ত বেচা-বিক্রি বেশ ভালো। আশা করছি, এবার ভালো ব্যবসা হবে।

বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুলের দোকানি আমজাদ হোসেন বলেন, এখনও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বোঝা যাবে বাজার কেমন। তবে আশা করছি, ভালো ব্যবসা হবে। রাতে বিক্রি হয়েছে অনেক ফুল।

এদিকে শহরের ফুলের দোকানগুলোতে ঘুরে অন্যান্যবারের তুলনায় ফুলের দাম বেশ কম দেখা গেছে।  

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এবার বেশ ভালো ফুলের উৎপাদন হয়েছে। এতে করে খুব সহজেই নিজেদের উৎপাদিত ফুল খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন চাষিরা। অন্যদিকে ফুলের আনা-নেওয়ার খরচ আগের তুলনায় কমে যাওয়ার ফলে বিক্রেতারাও কম দামেই ফুল বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ফুলের বাজারদর কম থাকায় সন্তুষ্ট ক্রেতারাও।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এমআরপি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।