ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কল্যাণপুরে অধিগ্রহণ করা ১৭০ একর জমি বেদখল!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
কল্যাণপুরে অধিগ্রহণ করা ১৭০ একর জমি বেদখল! মঞ্চে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজধানীর কল্যাণপুরে একটি প্রকল্পে ১৭৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হলেও মাত্র তিন একর ছাড়া বাকি জমি দখল হয়ে গেছে।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে থাকা ২৯টি খাল ও একটি রেগুলেটরি পন্ডের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কল্যাণপুরের এই স্থানে সরকার ওয়াটার রিটেনশন পন্ড নির্মাণের জন্য ১৭৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু তিন একর ছাড়া বাকি জমি দখল হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ করার পর এর ভেতর থাকা সব স্থাপনা উদ্ধার করে পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় দেশে অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ আর্মির কাছে মানুষের আস্থা এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি। এই প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশের গর্বিত এই প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, তারা সফলতার সঙ্গে এটি সম্পন্ন করবে। ’রাজধানীতে খালের সীমানা নির্ধারণের পর সীমানার ভেতরে থাকা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলো হস্তান্তর করার পর থেকেই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেগুলো দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কাজ শুরু করে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উচ্ছেদ অভিযান কাজ চলছে। ইতোমধ্যে অনেক খাল উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীকে একটি বাসযোগ্য ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়তে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উভয় সিটি কর্পোরেশন মেয়র নিরলসভাবে অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ করছেন। ’

তিনি বলেন, ‘সব জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে রামচন্দ্রপুরসহ অনেকগুলো খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছে করেছেন। সাধারণ মানুষ পাশে থাকলে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব। ’ তিনি আরও বলেন, ‘অতীতের ব্যর্থতা ও সফলতার বিচার বিশ্লেষণ না করে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ’

ঢাকার ঐতিহ্য ফিরে আনতে হলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। জনসমর্থন আদায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তর সিটি কর্পোরেশন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ আর্মির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।