ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইলিশ রক্ষায় ২ মাস ড্রেজার বন্ধের নির্দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
ইলিশ রক্ষায় ২ মাস ড্রেজার বন্ধের নির্দেশ

চাঁদপুর: চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় আগামী মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনা নদীতে সব ধরনের ড্রেজার বন্ধ থাকবে। নদী সংলগ্ন যেসব খাল রয়েছে সেখানে প্রতিটি খালের প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, জেলে নৌকা উপরে উঠিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে ইঞ্জিন খুলে ফেলতে হবে। আর এসবের দায়িত্বে থাকবেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌরসভা হলে সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাটকা নিধন প্রতিরোধে জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক হয়ে জনপ্রতিনিধি ও জেলে প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে নদী তীরবর্তী জনপ্রতিনিধিদের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আশা করি দেশ ও মানুষের অধিকার হিসেবে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় তারা আন্তরিক হয়ে কাজ করবেন।  

ডিসি আরও বলেন, ২০২১ সালে জেলেদের চাল কম বরাদ্দ এসেছিল। এবার কিন্তু আমাদের চাল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কাজেই এবার ৪০ কেজি করে চাল দিতে হবে জেলেদের। আর চাল বিতরণে যদি কোনো অনিয়ম হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসারের নামে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জাটকা রক্ষায় এবারও আমাদের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। নদীপথে যাতে কোনো স্পিড বোড চলতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অভিযান শুরুর আগেই উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষ করতে হবে।

ডিসি আরও বলেন, অভিযান সফল করতে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রচার প্রচারণা। প্রয়োজনে ছোট ছোট গল্পে নাটিকা তৈরি করে প্রচার করতে হবে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারণা করতে হবে। বিশেষ করে জেলেদের পেছনে যারা রয়েছে তাদের নজরদারিতে রাখতে হবে। শুধু পুকুরের মাছের জন্য একটি বরফকল ছাড়া বাকি বরফ কলগুলো বন্ধ থাকবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসানের সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, নৌবাহিনী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মিল্টন কবির, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, মতলব দক্ষিণ (ইউএনও) ফাহমিদা হক, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুন-অর-রশিদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মালেক দেওয়ান, কান্ট্রি ফিসিং বোর্ড মালিক সমিতির চাঁদপুর সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, চাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি নেতা তসলিম বেপারী, সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি শফিক বেপারী, মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি ওমর প্রধানিয়া।

এছাড়াও সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।