ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে উৎপাদিত পণ্যে সম্পূরক শুল্ক থাকা উচিত নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
দেশে উৎপাদিত পণ্যে সম্পূরক শুল্ক থাকা উচিত নয়

ঢাকা: দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যে কোনো সম্পূরক শুল্ক থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট, আমদানি শুল্ক, আয়কর, মূসক ও অন্যান্য কর বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর দেশীয় শিল্পকে এখনকার মতো সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই ২০২৬ সালের আগে কর ও শুল্কছাড় দিয়ে স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য আগামী বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করার পক্ষে মত দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।  

তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মূলত বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো শুল্ক-কর আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি।

রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন অটোমেশন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার মূল্যায়নের দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।  

এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ও এনবিআর এর সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে নানা সংশোধনের কারণে, ২০১২ সালের ভ্যাট আইনটি এখন সেলস ট্যাক্স আইনে পরিণত হয়েছে। তিনি এ আইনের মৌলিক সংস্কারের সুপারিশ করেন।

ব্যবসায়ীরা যেন কর কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার না হন, এজন্য অবশ্যই রাজস্ব বোর্ডকে জবাবদিহিতার আওতার আনার আহ্বান জানান তিনি।  

বৈঠকে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন আগামী বাজেটে ম্যান মেড ফাইবারের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার, স্পেয়ার পার্টস আমদানিতে শুল্কের একক হার, এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত বস্ত্রখাতে ১৫ শতাংশ কর্পোরেট কর বহাল রাখার দাবি জানান।

আগামী বাজেটে আগাম করের হার যৌক্তিকীকরণ ও ভ্যাটের একক হার প্রণয়নের পরামর্শ দেন কমিটির সদস্য ও ফিকির পরামর্শক স্নেহাশীষ বড়ুয়া।  

এছাড়াও বিভিন্ন সমিতি ও চেম্বারের প্রতিনিধিরা ভ্যাট কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও হয়রানি নিয়ে অভিযোগ করেন। ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে অটোমেশনের আওতার নিয়ে আসার দাবিও জানান তারা।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি সালাহউদ্দীন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালক হারুন অর রশীদ, আমজাদ হোসাইন, মো. নাসের, ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর, আবুল কাশেম খান ও এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এসই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।