ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এডিপিতে কমলো ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
এডিপিতে কমলো ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা গণভবন থেকে এনইসি সভায় ভার্চ্যুয়ালি সভাপত্বি করেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। যা মূল এডিপি থেকে ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা কম।

মূল এডিপি ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। তা থেকে কমিয়ে এই সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করা হয়।

বুধবার (২ মার্চ) এনইসি চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।  

এনইসি সম্মেলন কক্ষ এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী ও সচিবসহ এনইসির অন্যান্য সদস্যরা সভায় অংশ নেন।

সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এনইসি মূল এডিপির আকার ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা কমিয়ে অনুমোদন করেছে। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নানও বক্তব্য রাখেন।

ব্রিফিংয়ে মূল্যস্ফীতি বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটা বিশ্বব্যাপী হয়েছে, শুধু আমাদের নয়। এমনকি বুড়ো বুড়ো অর্থনীতি যেগুলো অন্যের খেয়ে, পরে মোটাতাজা হয়েছে, যাদের মূল্যস্ফীতি প্রায় ছিলই না, বুঝতো না, সেখানেও অনেক মূল্যস্ফীতি আছে। আমি জানি, নাম বলব না। এমনকি প্রতিবেশী বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতেও আমাদের তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি। সেই জায়গায় আমাদের বেড়েছে অস্বীকার করছি না। তবে নিয়ন্ত্রণে আছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সরবরাহ ব্যবস্থা সঠিক রেখে, বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এবং বাজারে হস্তক্ষেপ, গুরুত্বপূর্ণ আইটেম যেগুলো চাল, ডাল, তেল সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, খোলাবাজারে বিক্রি করে, ট্রাকের মাধ্যমে সব বড় শহরে পরিস্থিতি রেখেছি। আমাদের এখানে দাবানল হওয়ার প্রশ্নই উঠে না, আগুনটাকে আমরা স্তিমিত করেছি।  

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন। এটা কেন বার বার বলি। এটা এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আলোচিত হয়েছে, আমি নজর রেখেছি। প্রথমে বিভিন্ন মহলে একটু উসখুস থাকলেও আমার ধারণা এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। কারণ কেউ এর বিকল্প কোনো শক্তিশালী বার্তা নিয়ে আসেনি। ৭ শতাংশের কাছে আমরা প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা প্রসঙ্গে এম. এ. মান্নান বলেন, আমরা কোভিড এবং পরবর্তী ওমিক্রণ চমৎকার ভাবে হ্যান্ডেল করেছি। এরই মধ্যে এটা চলে যাওয়ার পথে।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এটি মোকাবিলায় তার (শেখ হাসিনা) সাহসী ও কৌশলী ভূমিকা নানাভাবে এটা প্রতিফলিত হয়েছে। করোনা এবং ওমিক্রণ দুটোকে আমরা দমন করতে পেরেছি, প্রায় শেষের পথে আছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে আমারা পণ্য রফতানি এবং শ্রমবাজার দুটোকে সংহত করতে পেরেছি। আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ২ মার্চ, ২০২২
এমইউএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।