ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অস্থির বাজার, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
অস্থির বাজার, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ ও সবজির। এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

এমন অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতি নিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (০৪ মার্চ ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৫০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ১২০ টাকা ও মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

এ সব বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। গতসপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়ে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।

১১ নম্বর বাজারের পিঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বাংলানিউজকে বলেন, সিজন শেষ হওয়ায় বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ও উৎপাদন কম থাকায়ও দাম বেড়েছে। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও আমদানি হচ্ছে বারমার পেঁয়াজ।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১২০ টাকা।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।  

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা।

সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, বেড়েছে ডিমের দাম। ডিমের উৎপাদন ও আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কম হচ্ছে।  

এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস । কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৫০ টাকা কেজি। বেড়েছে লেয়ার মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা সাব্বির বলেন, উৎপাদন কম থাকায় মুরগির দাম বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, মুরগির খাবারের দাম কেজিতে ৭ টাকা করে বেড়েছে বলেই মুরগির দাম বাড়তি। দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২২
এমএমআই/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।