ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে চাল-চিনি-পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
দাম বেড়েছে চাল-চিনি-পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে চাল, চিনি, মুরগি, সবজি ও পেঁয়াজের। এছাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

 শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। প্রতিকেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, মটরশুটি ১২০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৫০ টাকা, পাতাকপি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

এসব বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি।  

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বাংলানিউজকে বলেন, সিজন শেষ হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ও উৎপাদন কম থাকায়ও দাম বেড়েছে।

বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১২০ টাকা।  

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এছাড়া বাজারে বেড়েছে চিনির দাম। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৮৬ টাকায়। প্যাকেট চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।  

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।  

এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকায়।  

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকা কেজি ধরে। বেড়েছে লেয়ার মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি।  

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, দাম বেড়েছে কক বা সোনালি মুরগির দাম। শবেবরাত ও রমজানকে সামনে রেখে দাম বেড়েছে মুরগির। প্রতিদিনই বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

এসব বাজারে বেড়েছে চালের দাম। কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। নাজিরশাইল চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালে প্রতিকেজিতে ১ থেকে ২ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৬৭ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা।  

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা কালাম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, চালের সিজন শেষ হওয়ায় ধানের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বাজারে। এ কারণেই বেড়েছে চালের দাম। বৈশাখ মাস আসছে। তখন আবার কমবে চালের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।