ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জুয়েলারি এক্সপো-২০২২

বাহারি ডিজাইনের স্বর্ণালংকার টানছে দর্শনার্থীদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
বাহারি ডিজাইনের স্বর্ণালংকার টানছে দর্শনার্থীদের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় চলছে বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২ | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের সর্ববৃহৎ আয়োজন বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২। তিন দিনব্যাপী এই এক্সপোতে স্থান পেয়েছে আকর্ষণী স্বর্ণালংকার, ডায়মন্ডের অলংকারসহ স্বর্ণখাতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ—বাক্স, স্বর্ণের মান পরীক্ষার যন্ত্রপাতি।

দেশের পুরনো ও ঐহিত্যবাহী স্বর্ণখাতের সুদিন ফিরিয়ে আনতে এই এক্সপো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সত্তরের অধিক অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের তৈরি অলংকার এক্সপোতে শোভা পাচ্ছে। এক্সপোতে আগত দর্শনার্থীরা গহনাগুলোর দাম ও মান যাইচ করতে পারছেন, চাইলে পরেও দেখতে পারছেন। প্রথমবারের মতো দেশে জুয়েলারি এক্সপো আয়োজনে আশাবাদী স্বর্ণখাতের ব্যবসায়ীরা।



বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আইসিসিবির ২ নম্বর হলে এই জুয়েলারি এক্সপোর উদ্বোধন করা হয়। আইসিসিবির তিনটি হলে তিন দিনব্যাপী এই এক্সপো চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।

ডায়মন্ডের পাশাপাশি স্বর্ণের নানান অলংকার নিয়ে এক্সপোতে অংশ নিয়েছে জুয়েলারি শপ ‘ডায়মন্ড সিলিবারেশন’। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ঢালী মোহাম্মদ লাল্টু জানান, আমরা ৩০ বছর ধরে দেখছি স্বর্ণখাতের ব্যবসায়ীরাসহ কারিগররা হতাশ। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বর্ণখাতের সবাই প্রাণ ফিরে পাবে।

ডায়মন্ড ছাড়াও স্বর্ণের বিভিন্ন রকম অলংকার প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানকার অভিজ্ঞতা সৌখিন দর্শনার্থীদের কাছে যাওয়ার সেতুবন্ধন তৈরি করবে।



স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন রকমের জুয়েলারি বাক্স আমদানিকারক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘বক্স ফাইভ’ এক্সপোতে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মনসুর আলম রুবেল বলেন, গহনার বাক্সের বাজার আছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে। এই মেলার মাধ্যমে আরও বাড়বে।

চাহিদা অনুযায়ী প্যাকেটিং মডেল পরিবর্তন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাক্স এক্সপোতে স্থান পেয়েছে। বাক্স ছাড়াও নোজপিন, নেকলেস ও স্বর্ণ রাখার ক্লিনার্স পেপার প্রদর্শন করা হচ্ছে।

রজনীগন্ধা জুয়েলার্সের সবুজ ইসলাম মনে করেন, প্রথমবারের মতো এমন মেলার আয়োজনে স্বর্ণখাতের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।

এক্সপোতে স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিও স্থান পেয়েছে। ‘ড্রিমস ইনস্ট্রুমেন্ট টেকনোলজি’ নিয়ে এসেছে স্বর্ণের মান পরীক্ষার অটোমেটিক মেশিন। ড্রিমস ইনস্ট্রুমেন্ট টেকনোলজির এস কে আহমেদ হোসেন জানান, মূলত টেস্টিং মেশিন নিয়ে তারা মেলায় অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো এক্সপোতে এসেছে, তাতে এই খাতের সম্ভাবনা সামনে অনেক বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এক ছাতার নিচে তাদের পণ্য প্রদর্শন করতে পারছেন।

জুয়েলারি পণ্যের এক্সপো হচ্ছে—এমন খবর পেয়ে প্রথম দিনেই রাজধানীর খিলখেত এলাকা থেকে এসছেন আইনজীবী তাজ। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্যই মূলত এক্সপোতে আসা। আমাদের দেশের স্বর্ণকাররা যেসব অলংকার তৈরি করেন, তা এক্সপোর মাধ্যমে সবার সামনে প্রদর্শনের আয়োজন সত্যিই আনন্দের।



বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে দেশে প্রথমবারের মতো জুয়েলারি এক্সপোর আয়োজনের মাধ্যমে দেশে গার্মেন্ট সেক্টরের মতো স্বর্ণখাতও বিস্ময় সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন বাজুসের সেক্রেটারি দীলিপ কুমার আগারওয়ালা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক্সপোর উদ্বোধন করেন ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শুরু হলো দেশের প্রথম জুয়েলারি এক্সপো

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।