ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানিমুখী শিল্পের মতো স্থানীয় শিল্পও নিরাপদ হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
রপ্তানিমুখী শিল্পের মতো স্থানীয় শিল্পও নিরাপদ হবে

ঢাকা: তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পকে যেভাবে নিরাপদ করা হয়েছে, ঠিক একই ভাবে অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য যেসব কারখানা পণ্য উৎপাদন করে, সেগুলোকেও নিরাপদ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এফবিসিসিআই এবং আইএলও এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘প্রমোটিং অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি ফর ইম্প্রুভিং প্রোডাক্টিভিটি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি।

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি জানান, এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ৫২০০টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। একইভাবে বাকি কারখানাকেও পরিদর্শনের আওতায় আনা হবে। দেশের সব শিল্পকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান সালমান এফ রহমান।

তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতে শুরুর দিকে সংস্কার কার্যক্রমে অনেক মালিকের অনীহা ছিল। কিন্তু এখন এই খাত শোভন কর্মপরিবেশের সুফল পাচ্ছে। একই ভাবে দেশের ওষুধ শিল্পও মানসম্পন্ন কারখানার কারণে বিশ্বজুড়ে সুনাম অর্জন করেছে।

কর্মশালায় সব খাতকে নিরাপদ করতে সরকারি নীতিগুলোর সফল বাস্তবায়নের আহ্বান জানান আইএলও‘র কারিগরি উপদেষ্টা জর্জ ফলার। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্র নিরাপদ হলে মালিক-শ্রমিক উভয়ের জন্যই তা লাভজনক হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহি বলেন, শিল্পকারখানার উন্নয়নে নিরাপত্তা, মান ও উৎপাদন একটি আরেকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত হলে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা ও মানেরও উন্নয়ন হয়।
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে শিশুশ্রম মুক্ত করতে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান সচিব।

এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কাজ করার সুযোগ পাওয়া শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে একটি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদশের শিল্প-বাণিজ্য যেমন বাড়ছে, তেমনি সেখানে শ্রমিকদের সংখ্যাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। টেকসই উন্নয়নের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।

তিনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিল্পের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেফটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেছে এফবিসিসিআই। জাতীয় ওএইচএস প্রোফাইল ও জাতীয় ওএইচএস নীতির ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে এই কাউন্সিল।

কর্মশালায় আর
ও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্ল্যাহ ডন, পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ, রেজাউল করিম রেজনু, এম.জি.আর নাসির মজুমদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হারুন অর রশীদ, ড. ফেরদৌসী বেগম, আমজাদ হোসাইন, মো. শাহীন আহমেদ, শমি কায়সার, মো. নাসের ড. যশোদা জীবন দেব নাথ, সিআইপি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী, মো. আবু হোসাইন ভূঁইয়া (রানু), মো. রেজাউল ইসলাম মিলন এবং মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, ৩০ মার্চ,২০২২
এসই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।