ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেটে নিয়ন্ত্রণহীন গরুর মাংস-মুরগির দাম

  নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
সিলেটে নিয়ন্ত্রণহীন গরুর মাংস-মুরগির দাম ছবি-মাহমুদ হোসেন

সিলেট: মুসলিম উম্মাহর বরকতময় মাস রমজান শুরু হয়েছে আজ (রোববার)। রমজানের দিনগুলোতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবারই মন চায় ভালো কিছু রান্না খাবার।

সাধ্য অনুযায়ী গরুর মাংস, মুরগি, ভালো প্রজাতির মাছ কেনার চেষ্টা থাকে সবার।
 
কিন্তু রোজার শুরুতেই আগুন লেগেছে গরু-খাসির মাংস ও মুরগির বাজারে। একদিন আগে ৬০০ টাকার গরুর মাংসের কেজিতে বেড়েছে ২০০/২৫০ টাকা। আর মুরগির কেজি পৌঁছেছে ২০০/২২০ টাকায়।
 
শনিবার সিলেটের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের শুরুতে মাংস ও মুরগির বাজারে ক্রেতাদের ভিড় লেগেছে। ফলে গরুর মাংসের সংকট দেখিয়ে মাংসের দাম বাড়িয়েছেন ক্রেতারা। সেই সঙ্গে পোয়া বারো মুরগি ব্যবসায়ীদেরও।
 
ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, একদিন আগে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে পেরেছেন। সরবরাহ কম থাকায় ২০০/২২০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। আর কক মুরগি দেড়শ’ টাকার স্থলে প্রতি পিস ২২০ টাকা এবং লাল মুরগি ৪৭০ টাকার স্থলে ৫২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। অথচ গরুর মাংস হাড়সহ ৭৫০ টাকা এবং হাড়বিহীন ৮৫০ টাকা এবং খাসি মাংস ৯০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।  
 
সিলেটের মধুশহীদ এলাকার বাসিন্দা রুকন আহমদ বলেন, রোজার শুরুতে সাহরির জন্য গরুর মাংস কিনতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। ৬০০/৬২০ টাকার মাংস সাড়ে ৮শ’ টাকায় পৌঁছেছে। গরুর মাংস কিনতে না পেরে মুরগি কিনেছি, তাও বাড়তি দামে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জবাইয়ের জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সিলমারা গরু বিক্রি করার কথা থাকলেও বিনা সিলে গরু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে।
  
মিরের ময়দান এলাকার শাহীন আহমদ বলেন, মুরগি কিনতে গেলে ১৫০ টাকা কেজিদরের পরিবর্তে ২২০ টাকায় কিনতে হয়েছে। রোজাকে সামনে রেখে দামের দিক থেকে যেন তুফান উঠেছে।
 
রিকাবিবাজার মরিয়ম পুল্টি ঘরের মানিক মিয়া বলেন, আড়তে গিয়ে মুরগির বেশি দাম দিয়ে আনতে হয়েছে। সিসিক থেকে দাম নির্ধারণ করে দিলেও লস দিয়ে তো আর বিক্রি করতে পারবো না।
 
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গরুর মাংসের দাম ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। তবে মুরগির বাজারে দাম নির্ধারণ করা যায়নি। যদিও দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন। তবে এ নিয়ম মানছে কিনা, এ জন্য রোববার থেকে ৩টি তদারকি টিম নামানো হবে। ’
 
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গরু জবাইয়ের আগে ভেটেরিনারি সার্জন রয়েছেন। তারা গরুতে সিল মেরে দিয়ে আসেন। কিন্তু স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া পশুও জবাই করে বিক্রি হচ্ছে, এটাও স্বীকার করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
এনইউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।