ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেটে কাঁচা মরিচের কেজি দেড়শ টাকা

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
সিলেটে কাঁচা মরিচের কেজি দেড়শ টাকা সিলেটের রিকাবিবাজার থেকে ছবি তুলেছেন মাহমুদ হোসেন

সিলেট: রোজা এলেই কদর বাড়ে কাঁচা মরিচের। সেই সঙ্গে দাম বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

এবারও সিলেটের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম এক লাফে বেড়ে গেছে তিন গুণ।

রোজার দুদিন আগেও সিলেটের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫০/৬০ টাকা। রমজান মাস শুরু হতেই কাঁচা মরিচের দাম পৌঁছে গেছে দেড়শ টাকায়।

সোমবার (০৪ এপ্রিল) সিলেটের রিকাবিবাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজায় প্রয়োজনীয় সব কাঁচামালের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাঁচা মরিচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শসা, গাজর ও বেগুনের দাম। রোজার একদিন আগে শসা ও গাজর ছিল ৪০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। আর বেগুন ছিল ৩০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।

ক্রেতারা বলেন, রোজার আগে লেবুর হালি ৩০ টাকা ছিল। রোজা আসতেই ৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৩৫ টাকা থেকে হয়েছে ৭০ টাকা। আবার কোনো কোনো বাজারে এক কেজি টমেটো ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।



নগরের রিকাবিবাজারে আসা এক ক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, রোজার দুদিন আগেও কাঁচা মরিচ ৫০/৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। রোজা আসতেই কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দেড়শ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

রিকাবিবাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচের দাম কম ছিল ঠিকই। কিন্তু পাইকারি আড়তে দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। একইভাবে রোজায় প্রয়োজনীয় সব কাঁচামালের দাম অত্যধিক বেড়েছে।

শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম রুদ্র ৮০ টাকায় এক হালি লেবু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন—আলামদুলিল্লাহ! ৮০ টাকায় এক হালি লেবু কিনেছি। বরকতের মাস এসেছে, বিক্রেতাও খুশি হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রোজায় দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসন থেকে ৫টি বাজার মনিটরিং টিম মাঠে নেমেছে। ওই টিমগুলোর নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সত্যজিৎ রায় দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আনোয়ার সাদাত।

অভিযানিক দলগুলো মাঠে নেমে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন এবং ক্রয় মূল্যের পাশাপাশি পাইকারী মূল্য ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা দেন। অভিযানকালে পাঁচ দোকানিকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

অভিযানিক দলের সদস্যরা বলেন, আমরা সবাইকে সতর্ক করছি, যাতে কেউ বেশি মূল্য না রাখেন। আর সবাইকে মালামাল ক্রয়ের মেমো রাখা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। কেউ নিয়ম না মানলে জেল-জরিমানার আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।