ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে তেল-গরুরমাংস-মুরগির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
দাম বেড়েছে তেল-গরুরমাংস-মুরগির

ঢাকা: ঈদকে সামনে রেখে বাজারে দাম বেড়েছে ভোজ্য তেল, গরুর মাংস ও মুরগির।   এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুরের-১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

তবে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, আর গোল বেগুন ১২০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বটবটি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল কেজি ৬০ টাকা, মটরশুটি কেজি ১২০ টাকা। এছাড়া চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা এবং লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

মিরপুর-১১ নম্বরের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ  ভাল, কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা কম থাকায় দাম কমেছে।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা এবং লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

তবে আলুর দামে কোনো হেরফের নেই। আলু আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি।   পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।  

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা, আর চায়না আদার দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

এদিকে ফের বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। আর দুই লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।

ভোজ্যতেল ক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে তেলের লিটার কিনেছি ১৭০ টাকা করে। আজ (২৯ এপ্রিল) বাজারে এসে দেখি তেলের দাম বেড়েছে। ১ লিটার কিনলাম ১৮০ টাকা দিয়ে। এভাবে যদি প্রতিনিয়ত জিনিস-পত্রের দাম বাড়তে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে জীবন ধারণ করবেন? পণ্যের দাম বাড়ছে, কিন্তু আমাদের আয়-রোজগার বাড়ছে না।

বাজারে প্রতি কেজি খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া সাদা প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। লাল ডিম প্রতি ডজন ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা।

তবে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। মুক্রবার (২৯ এপ্রিল) গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায়।

মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. গুড্ডু বলেন, এখন অনেক বেশি দাম দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। এ কারণেই বেশি দামে বিক্রি করছি গরুর মাংস। আমরা কম দামে গরু কিনতে পারলে, মাংসও কম দামে বিক্রি করি।


সেই সঙ্গে বেড়েছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৭০ টাকায়। বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। বর্তমানে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। যা গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।  

মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের মুরগীবিক্রেতা রুবেল বাংলানিউজকে বলেন,  ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব রয়েছে। ঈদের পরে কমে যাবে মুরগির দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।