ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভোলার বাজারে সয়াবিনের সংকট, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ১, ২০২২
ভোলার বাজারে সয়াবিনের সংকট, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

ভোলা: ঈদের একদিন আগে ভোলার বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্রেতারা বাজার ঘুরেও তেল পাচ্ছেন না।

হঠাৎ করেই তেল সংকটের কারণ জানা নেই কারও। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ডিস্ট্রিবিউটররা তেল মজুদ করে তেলের সংকট দেখিয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছেন।  

অভিযোগের বিষয়ে তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি থেকে তেল সরবরাহ না হওয়ার কারণে তারাও তেল দিতে পারছেন না।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত থেকে ভোলার বাজার থেকে সব তেল উধাও হয়ে গেছে। ক্রেতারা তেল কিনতে এলেও তাদের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। বাজার ঘুরে খোলা তেল কোথাও মিললেও দাম অনেক চড়া। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। রান্না তৈরির একমাত্র উপকরণ সয়াবিন তেলের এমন সংকটে ক্ষুব্ধ ক্রেতা-বিক্রেতারা।  

ক্রেতা ফাতেমা ও শিরিন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সারা বাজার ঘুরেও কোথায় সয়াবিন তেল পাইনি। যদিও দু’একটি দোকানে খোলা তেল পাওয়া যাচ্ছে, তবে দাম অনেক বেশি। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে।

আরেক ক্রেতা বলেন, শনিবার বিকেলও কিছু তেল ছিল, কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে বাজারে তেল নেই। ঈদের আগে বাজারে এমন অস্থিতিশীল মেনে নেওয়া যায় না।

শুধু তেল নয়, বাজারে বেড়েছে মাছ-মাংস, ডিম, চিনি ও পেঁয়াজ-রসুনসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। দেশি মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, একদিন আগে যা ছিল ৫৫০ টাকা। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। তবে স্বাবাবিক রয়েছে খাসির মাংসের দাম। পোল্ট্রি মুরগির ডিম হালি প্রতি ছিল ৩২ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে।  



অন্যদিকে, পেঁয়াজ ২৩ টাকার পরিবর্তে ২৬ টাকা। একই অবস্থা যেন মাছের বাজারেও। কাঁচা বাজারে দেশীয় বিভিন্ন মাছ ও ইলিশ সরবরাহ থাকলেও দাম আকাশচুম্বি। প্রতিটি আইটেমের মাছ কেজিতে বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে এসে অনেকেই পড়ছেন বিপাকে।

এ বিষয়ে ভোলা চেম্বারের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো পণ্যের দাম হাকাচ্ছেন। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বেশি বিপাকে পড়ছেন। তাই বাজার দ্রুত মনিটরিং করার জরুরি।

এদিকে তেলের এমন সংকটের বিষয়ে দোকানিরা ডিস্ট্রিবিউটরদের দোষ দিচ্ছেন।

বিক্রেতা রতন সাহা বলেন, বাজারের তেল নেই। ডিস্ট্রিবিউটররা আমাদের তেল দিচ্ছেন না, তাই আমরাও তেল বিক্রি করতে পারছি না। বর্তমানে তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

অভিযোগের ব্যাপারে মো. আবু জাফর নামে তেলের এক ডিস্ট্রিবিউটর বাংলানিউজকে বলেন, ভোলার বাজারে ২০ মেট্রিক টন তেলের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে তেল এসছে মাত্র ১০ মেট্রিক টন। এতে ভোলার বাজারে চাহিদার তুলনায় তেল নেই। যার প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।