ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এলডিসি থেকে উত্তরণ

এডিবির কাছে আরও উন্নয়ন সহযোগিতা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২২
এডিবির কাছে আরও উন্নয়ন সহযোগিতা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবিকে আরও উন্নয়ন সহযোগিতা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশনস১) মি. শিক্সিন চেনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ ফাতিমা ইয়াসমিন, এডিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (ডিডিজি) মনমোহন প্রকাশ, বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সোনার বাংলা বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দক্ষ, যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব উত্তরণে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যখাতে নেতিবাচক প্রভাব উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর ২২.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিডিপির ৬.২৩ শতাংশ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের বিষয়টি এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। এডিবি এ যাবৎ বাংলাদেশ সরকারকে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে। আশা করছি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবি  আরও সহযোগিতা দিয়ে বাংলা‌দে‌শের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূ‌মিকা পালন কর‌বে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ, কৃষি, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানি, সুশাসন, আর্থিক এবং বেসরকারি  খাতকে প্রাধান্য দেয়।

বৈঠকে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেন সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এই মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতেও সবসময় পাশে থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এডিবি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণের লক্ষ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা, কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া জরুরি সহায়তা শীর্ষক প্রকল্পে স্বাস্থ্যখাতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন কেনার জন্য ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ, ৯.৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান এবং দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, কর্মসৃজন, অভিবাসী শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ০৯,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।