ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রায় সব নিত্যপণ্যেরই দাম বেড়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২২
প্রায় সব নিত্যপণ্যেরই দাম বেড়েছে ফাইল ছবি

ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা সবজি, ডিম ও মুরগির দাম বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। করলা  ৭০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দলের কেজি ৬০ টাকা।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৫০ টাকায়। এছাড়া কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ট্রাক ভাড়াও বেড়েছে। সাপ্লাই বাড়লে সবজির দাম একটু কমতে পারে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আর একটু ভাল মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৭ টাকায়। আর প্যাকেট চিনি ৯২ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ভারতীয় মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

প্যাকেট আটার কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটা ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। ভোজ্য তেলেও কোনো সুখবর নেই। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২০৫ টাকা।

এসব বাজারে লাল ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। হাঁসের ডজন ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর লেয়ার মুরগির কেজি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা।

মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের বিক্রেতা রুবেল বলেন, তেলের দাম বাড়ার কারণে মুরগি বাজারে আনার খরচ বেড়েছে। একই সঙ্গে খামারগুলোতে বেড়েছে মুরগির দামও। সব মিলিয়ে এসব কারণে মুরগির দাম বেড়েছে।

বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৯ থেকে ৭০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা। বিরি-২৮ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায়। আগে দাম ছিল ৫৩ টাকা কেজি। নাজিরশাইল চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। আর পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়।

একই বাজারের মকবুল রাইস এজেন্সির কর্ণধার কামাল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। চিকন চাল কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা, আর মোটা চালে বেড়েছে ২ টাকা করে।

পল্লবী এলাকার বাসিন্দা সালাউদ্দিন রিজু বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।
এভাবে চলতে থাকলে, কীভাবে সংসার চালাব, কিছু মাথায় ঢুকছে না। রাজধানীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এমনটা চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১২, আগস্ট  ১২, ২০২২
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।