ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বহুজাতিক কোম্পানির কারণে ধ্বংসের মুখে পোল্ট্রি খাত, অভিযোগ খামারিদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
বহুজাতিক কোম্পানির কারণে ধ্বংসের মুখে পোল্ট্রি খাত, অভিযোগ খামারিদের

খুলনা: বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কারণে পোল্ট্রি খাত ধ্বংসের মুখে। অস্থির হয়ে পড়েছে আমিষের বাজার।

প্রান্তিক খামারি ও ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একদিকে কোম্পানিগুলোর বহুমুখী সিন্ডিকেট অন্যদিকে কাঁচামালের উচ্চমূল্যে খামারিরা ব্যবসা গোটাতে বাধ্য হচ্ছেন। ভোক্তা পর্যায়ে বাজার মূল্য কমাতে পশুখাদ্যসহ উপকরণে কৃষির মতো প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিলেই মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলে মনে করছেন ক্ষুদ্র পর্যায়ের খামারিরা।

শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মহানগরের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে চাহিদার অতিরিক্ত মুরগির মাংস ও ডিম উৎপাদন হওয়া এবং বিদেশে রপ্তানি করতে না পারায় প্রান্তিক উৎপাদক খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়া বিদেশি বৃহৎ কতিপয় কোম্পানি ও পোল্ট্রি শিল্পের সেবার নামে ক্ষুদ্র, মাঝারি খামারি-ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সাধারণকে ঠকিয়ে অবৈধভাবে মুরগির বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধসহ বিভিন্ন ভ্যাকসিনের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে খামারিদের সর্বনাশ করে নিজেরা লাভবান হচ্ছে।

খামারিরা সরকারি ত্রাণে উপহার হিসেবে ডিম, মাংস, মাছ ও দুধ অন্তর্ভুক্ত করে বিতরণের ব্যবস্থা করা, স্কুল ফিডিং ও স্কুল মিড-ডে মিলে দুধ-ডিম অন্তর্ভুক্ত করা, শিল্পটির ওপর করারোপ, আগ্রিম শুল্ক ও ট্যাক্সসহ অযৌক্তিক আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানান।

একই সাথে খুলনাসহ বিভাগের সকল জেলায় কৃষিজ ভিলেজ লাইভ স্টকের আদলে পাইকারি মুরগির ডিম-খাদ্যের বাজার স্থাপন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের অধীনে মহানগরের ৩১টি ওয়ার্ডে মেট্রো থানা প্রাণিসম্পদের আরও তিনটি অফিস স্থাপন, জনবল বৃদ্ধি, আধুনিক ডায়াগনস্টিক ল্যাবসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও যানবাহনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

খামারিরা বলেন, সরকার যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব উদ্যোগ না নেয় তাহলে অচিরেই দেশে মুরগির মাংস ও ডিমের ঘাটতি দেখা দেবে। তখন মানুষকে চড়া মূল্যে এসব পণ্য কিনে খেতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সভাপতি মাওলানা ইব্রাহীম ফয়েজুল্লাহ, উপদেস্টা এস এম ওবায়েদুল্লাহ, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকম এস এম হাফিজুর রহমার লিপু, কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উজ্জামান, নির্বাহী সদস্য আব্দুল হালিম শেখ ও শাহ্ জাফর মাহমুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।