ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চিলাহাটি রেলস্টেশন ঘুরে দেখলো ভুটানের প্রতিনিধি দল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
চিলাহাটি রেলস্টেশন ঘুরে দেখলো ভুটানের প্রতিনিধি দল

নীলফামারী: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও একই সঙ্গে খরচ কমাতে চিলাহাটি থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করতে চায় ভুটান।  

এজন্য বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে ভুটানের একটি প্রতিনিধি দল চিলাহাটি রেলস্টেশন পরিদর্শন করেছে।

 

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ভুটানের কাউন্সিলর কিনছো থিনলে, ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমল প্রধান ও ঢাকাস্থ এডিবির কার্যালয়ের কনসালট্যান্ট ফিরোজ আহমেদ। চিলাহাটি রেলস্টেশনের পুরো এলাকা ঘুরে দেখার পর তারা বলেন,  অবকাঠামোগত কাজ শেষ করা গেলে এ রেলপথ দিয়ে বাণিজ্যের বড় সম্ভবনা তৈরি হবে। একই সঙ্গে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা গেলে এ সম্ভবনা আরও গতি পাবে।  বর্তমানে ভারত থেকে আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী মিতালি এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী ট্রেন চিলাহাটি স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে চলাচল করছে।  

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে এবং খরচ কমাতে এ রেলপথ ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ভুটান।  

বর্তমানে বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে পণ্য আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। তবে চিলাহাটি রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মোংলা বন্দরের দূরত্ব যেমন কমবে, একই সঙ্গে অনেক বেশি পণ্য আনা নেওয়া করা যাবে। ফলে খরচ ও দূরত্ব দুই-ই কমবে। আর সে কারণে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে এ রেলপথ নতুন সম্ভবনা হয়ে দেখা দিয়েছে। এডিবির একজন বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে ভুটানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেন।  

এসময় লুপ লাইনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন। এর আগে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
 
পরিদর্শন শেষে ভুটান প্রতিনিধি দলের পক্ষে সফরে আসা এডিবি কনসালট্যান্ট ফিরোজ আহমেদ জানান, এ রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মোংলা বন্দরে সহজে বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা গেলে বাণিজ্যের ক্ষেত্র বাড়বে।

রেলওয়ে বিভাগ বলছে, ভুটান রেলপথ ব্যবহারে আশার কথা জানিয়েছে। এটি শুরু হলে রেল বিভাগের রাজস্ব বাড়বে বহুগুণ। ২০২৪ সালের পর নিজস্ব পণ্যবাহী ওয়াগন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে অবকাঠামোর কাজ শেষ করা গেলে স্থলবন্দর চালু করা সম্ভব হবে।  

পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস ও পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ জানান, বর্তমানে যে লুপ লাইন রয়েছে, সেটির ধারণ ক্ষমতা ৬০০ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ মিটার করা হচ্ছে। এ কাজ দ্রুত শেষ হবে। এটি শেষ হলে ৫০টি পর্যন্ত পণ্যবাহী ওয়াগন রাখা সম্ভব হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।