ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফুডপ্রো এক্সপোর শেষ দিনে দর্শনার্থীদের ভিড়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
ফুডপ্রো এক্সপোর শেষ দিনে দর্শনার্থীদের ভিড় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘অষ্টম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০২২’ এর তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন ছিল রোবববার (২০ নভেম্বর)। এ দিন দুপুর থেকে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিনটি হলেই ভিড় করতে থাকেন ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও সাধারণ দর্শনার্থী।

বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসর্স অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের আয়োজনে গত ১৮ নভেম্বর শুরু হয় দেশে আয়োজিত সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক এই ফুডপ্রো এক্সপো।

দেশীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এবারের আয়োজনে ভারতা, চীন, তুরস্ক, জাপান, লিথুয়ানিয়া, কানাডা, ইতালিসহ প্রায় ১৭টি দেশের শতাধিক খাদ্যপণ্য, মেশিনারিজ প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

ইন্টারন্যাশনাল ফুডপ্রো এক্সপোতে অংশ নেওয়া ভারতীয় খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিবর্নের কর্মকর্তা শ্রুতি মধুমালী বলেন, আমরা ভারতের বাজারের জন্য যেসব খাদ্যপণ্য সরবরাহ করি, যেমন বেকারিজ পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কন্ডেন্সড মিল্ক, বাচ্চাদের জন্য লিচি ড্রিংক্স—এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ইচ্ছা থেকেই এই ফুডপ্রো এক্সপোতে অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কাছে আমাদের পণ্যের মানের বিষয় তুলে ধরছি। অনেকেও প্রশংসা করছেন।

শ্রুতি মধুমালী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয় বড় সংকট খাদ্যের নয়, ভালো ও গুণগত মানসম্পন্ন খাদ্যের। এই ধরনের আয়োজনে খাদ্যপণ্য প্রস্তুতের বিষয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ থাকে। আমরাও অনেক কিছু জেনেছি এই এক্সপোর মাধ্যমে। আমাদের কিছু বিষয় দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। সামনের দিনগুলোতে বাপার আয়োজনে আমরা আরো বড় পরিসরে অংশ নিতে চাই। তরুণরা এসব আয়োজনে অংশ নিলে অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবেন। আমি আয়োজকদের কাছে অনুরোধ করবো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের এসব আয়োজনে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

বাংলাদেশের ফুড প্রসেসিং সেক্টরের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় উদ্যোক্তারাও এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করে নিজেদের তৈরি ও আমদানিকৃত বিভিন্ন ফুড প্রসেসিং যন্ত্রপাতির প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রযুক্তি পণ্য এদেশের উদ্যোক্তাদের সামনে তুলে ধরছেন। দেশে এবং দেশের বাইরের মানুষ বাংলাদেশের ফুড ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে ফুডপ্রো এক্সপো আয়োজনের মাধ্যমে জানতে পারবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।

বাপার ফুডপ্রো এক্সপোতে এসেছেন একজন উদ্যোক্তা ইমারন মাহমুদ নাসের। ফুড এক্সপোর অভিজ্ঞতা বিষয়ে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এমন একটি আয়োজন থেক আমি নিজে নিজে ব্যবসা শুরু করেছিলাম, মোটামুটি সফলও হয়েছি। এই ধরনের আয়োজনে এল একসঙ্গে অনেক কিছু পাওয়া যায়। যেগুলো কখনো একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব না। আপনি নিজে যখন কোনো কিছু করার চেষ্টা করছেন হয়তো সফল হতে পারছেন না বা শুরু করতে পারছেন না। কিন্তু এই ধরনের এক্সপোতে আপনি এমন অনেক কিছুই সহজে পেয়ে যাবেন।

ইমরান হোসেন আরও বলেন, এই ধরনের আয়োজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা স্বনির্ভর মানুষদের জন্য বেশ সহায়ক। আপনি কী করবেন, কীভাবে করবেন এর পুরো ধারণাটি এক্সপোতে এলে পাবেন। সাধারণত সব ধরনের সেবা নিয়ে কোম্পানিগুলো এক্সপোতে আসে। তারা বিভিন্ন সেবা অফার করে। যেগুলো আমরা সাধারণভাবে চিন্তাও করতে পারি না। তাই এই ধরনের আয়োজনে সবাইকে যুক্ত করা, আরও বেশি সময় নিয়ে এই ধরনের আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের প্রতি আহ্বান করছি।

গত ১৮ নভেম্বর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান তিন দিনব্যাপী অষ্টম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। রোববার ছিল ফুডপ্রো এক্সপোর শেষ দিনের আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
এসআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।