ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শতবর্ষ উদযাপন করল দেনমোহরের জমিতে গড়া বিদ্যালয় 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
শতবর্ষ উদযাপন করল দেনমোহরের জমিতে গড়া বিদ্যালয় 

চাঁদপুর: দেনমোহরে পাওয়া জমিতে ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কেশরাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  

উপজেলার রাগৈ ইউনিয়নের কেশরাঙ্গা গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির টুকা মিয়া পাটোয়ারীর সহধর্মিণী রত্তন বানু মোহরানার সম্পত্তি থেকে ৩৪ শতাংশ এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় দান করেন।

 

আর সেই বিদ্যালয় শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) শতবর্ষ উদযাপন করেছে।  

এদিন দুপুরে উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

তিনি বলেন, শতবর্ষী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদযাপন অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই বিদ্যালয়টি গ্রামীণ শিক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। আজকের এই আনন্দঘন পরিবেশে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা হয়েছে এবং তাদের স্মৃতিচারণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মেজর রফিক বলেন, আমি দেখছি এক নতুন হাস্যজ্জ্বল নতুন প্রজন্মকে। যাদের মুখে হাসি আছে। সুন্দরের স্বপ্ন যারা দেখেন। একটি সুখী সমৃদ্ধশালী সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্নে যারা বিভোর, সেই নতুন প্রজন্ম, কৃষক, তরুণ, যুবক তাদেরকে আমি দেখি। তাদের মুখে আমি দৃঢ় প্রত্যয় দেখি। তাদের জন্যই আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। যুদ্ধের পরের যেই প্রজন্ম তারা অনেকেই এখানে আছেন। আমরা তো সেদিন মরে যেতে পারতাম। আমি যুদ্ধ করেছি আমার মা, বাবা, পরিবার এবং প্রতিবেশি যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে এবং এই প্রজন্ম পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আল্লাহর অশেষ রহমতে, সবার সহযোগিতায় আমরা সেই যুদ্ধে জয় লাভ করেছিলাম। যে চেতনায় আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, তাতে আমরা সফল হয়েছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাসের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী ও শাহরাস্তি পৌরসভা চেয়ারম্যান হাজী আবদুল লতিফ।

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন ৯৫ বছর বয়সী সাবেক শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপিকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে শতবর্ষ উদযাপনের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।