ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবির ‘টর্চারসেল’ প্রক্টর অফিস

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
জবির ‘টর্চারসেল’ প্রক্টর অফিস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, (জবি): একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ নিষ্পত্তি, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে সহায়তা, শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কাজ। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রক্টর অফিসের চিত্র ভিন্ন।

এখানে শিক্ষার্থীদের তুচ্ছ ঘটনায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, মাদক অভিযানের নামে হয়রানি, সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে দেখলে ডেকে নিয়ে বিয়ে দিতে চাওয়া, রাজনৈতিক হয়রানিসহ বিভিন্ন ঘটনায় মানসিকভাবে হেয় করা হয়। এমনকি রিকশাচালকসহ বাইরের লোকজনকেও তারা অত্যাচার করেন। এসবের কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রক্টর অফিস কার্যত শারীরিক ও মানসিক ‘টর্চারসেলে’ পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপটগুলো জানা যাক। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর দুপুর, জুয়েল মিয়া নামে বাহাদুর শাহ পরিবহনের এক গাড়িচালককে প্রক্টর অফিসে ধরে আনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টর কাজী ফারুক হোসেন ও কাজী নূর হোসেন মুকুল। তাদের বহনকারী একটি রিকশাকে গাড়িচালক জুয়েল ধাক্কা দিয়েছেন অভিযোগে কিল-ঘুষি দিয়ে অত্যাচার করেন তারা। এ সময় প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল ও সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার গাড়িচালককে গালিগালাজ করেন।

মারধরের সময় জুয়েল তাদের পা ধরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি করেন। তার স্ত্রী গর্ভবতী, এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি বলেও জানান। ঘটনাটি তার ইচ্ছাকৃত নয় বলেও জানান। কিন্তু তাকে ছেড়ে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর কোরাম। এমনভাবে জুয়েলকে মারধর করেন, দাঁড়ানোর সক্ষমতা হারান তিনি। ঘটনাটি জানতে পেরে তাদের অফিসে যান কয়েকজন সাংবাদিক। পরে জুয়েলকে চিকিৎসার জন্য ৫০০ টাকা দেন তারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত খোদ প্রক্টরসহ তার সহকারীরা। সাভার পরিবহনে প্রক্টর মোস্তফা কামাল ও সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদারের দুটি বাস রয়েছে। বিষয়টি গোপন রাখতে বাস দুটির কাগজপত্র প্রক্টর অফিসের কর্মচারী হাসানের নামে করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বাস দুটির মালিক হাসান নিজে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদারের খালাতো ভাই আমার সঙ্গে শেয়ারে আছেন। বাস কেনার সময় নিউটন সঙ্গে ছিলেন বলেও স্বীকার করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের বাস ভাড়া কম করার নামে নানা সময় বাস মালিকদের প্রভাবিত করার অভিযোগও আছে প্রক্টর কোরামের বিরুদ্ধে। অফিসে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থী বা চালকদের হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়।

প্রক্টর অফিসে শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে মারধরসহ মানসিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন জবির অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন বলে তাদের অনেকেই নিজেদের নাম প্রকাশ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ থেকে ডাব পাড়ায় হয়রানি
মানসিক হেনস্তার বড় উদাহরণ শিক্ষার্থীদের ডাব পেড়ে খাওয়ার ঘটনা। এমন ছোট বিষয়েও শিক্ষার্থীদের শাস্তির আওতায় আনেন প্রক্টর মোস্তফা কামাল। দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ডাব পাড়ায় তাদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। করা হয় নানা মানসিক হেনস্তা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিলেও (বর্তমানে দুজন সহ-সভাপতি) তখন কমিটি না থাকায় আরও বেশি হেনস্তা করা হয়। তাদের বাসায় ফোন করে ডাব চুরি করে ব্যবসা ও নেশাগ্রস্থ আখ্যায়িত করা হয়। এমনকি ডাব চোর আখ্যা দিয়ে পুলিশ পর্যন্ত আনা হয়। পরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ক্ষমা চান শিক্ষার্থীরা। তবুও তাদের কেন বহিষ্কার করা হবে না নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ক্ষমা চাওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।

এ ঘটনার ভুক্তভোগী তৌহিদুল ইসলাম শান্ত নামে এক ছাত্র। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সেসব দিনের কথা ভাবলে এখনও শিউরে উঠি। ক্যাম্পাসের ফল শিক্ষার্থীরা খেলে দোষ কিসের? সব ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ফল খায়। একথা বলার পর আমাদের ডাব ব্যবসায়ী, মাদকসেবীসহ নানা কথা বলা হয়। পরিবারকে ফোন দেওয়া, এমনকি পুলিশ পর্যন্ত ডেকে আনা হয়। প্রক্টর মোস্তফা কামাল কখনোই শিক্ষার্থীবান্ধব ছিলেন না।

ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ল’ বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদশা (ছদ্মনাম) বলেন, আমাদের এক বান্ধবী মারা যায়। ব্যাচের বন্ধুরা পরেরদিন পরীক্ষা পেছাতে চায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকেসহ আরও কয়েকজনকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে হেনস্তা করা হয়। আমার বাবা মাকে ডেকে এনে আমার নামে অনেক কটু কথা বলে প্রক্টর স্যাররা। অথচ এই ঘটনার সাথে আমি যুক্তই ছিলাম না। আমার মা কান্না করতে করতে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা বিভাগের (২০১৪-১৫) শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে বারবিকিউ করার জন্য প্রক্টর স্যার আমাদের অনুমতি দেন। অনুষ্ঠানে ছেলে-মেয়েরা আনন্দ করছিল। কিন্তু কিছু সময় পর কয়েকজনের আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয় প্রক্টর অফিস। এরপর কেন বহিষ্কার করা হবে না মর্মে বাসায় চিঠি দেয়। মানসিকভাবে আমরা একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ফিন্যান্স বিভাগের ১৫ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে নিয়ে পোস্ট দেন। ওই পোস্টে ‘শিক্ষক কে’ যারা জানতে চেয়েছেন, বা যারা লাইক দিয়েছেন- তাদের সবাইকে কেন বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে নোটিশ দেয় প্রক্টর অফিস। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা না বুঝে পোস্টে রিয়্যাক্ট দিলেও কেন দিলাম এর জন্য বহিষ্কার হওয়ার হুমকি, বাবা মাকে পর্যন্ত ফোন দিয়ে ডেকে আনা হয়। প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে আমরা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলাম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আহমেদুল কবীর বলেন, এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের রাত ১০টায় আমরা সিনিয়র-জুনিয়র মিলে শান্ত চত্ত্বরের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে কোনো ছাড়াই চলে যেতে বলেন প্রক্টররা। আমরা কারণ জানাতে চাইলে পুলিশ আনে। এরপর আমাদেরকে ধরিয়ে দিতে চায়। তখন শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানালে চাপের মুখে ছাড়তে বাধ্য হয়। সাবেকরা এলে পর্যন্ত প্রক্টর এমন আচরণ করেন। অথচ তিনি সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে নিজে সারা রাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা দেন।

মাদক অভিযানের নামে হয়রানি
বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রাস ছড়ানোর মতো সবচেয়ে বড় ঘটনা হলো মাদক অভিযানের নামে হয়রানি। অভিযানের কথা বলে বিকেলের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে গুচ্ছ আড্ডা দিলে তাদের হয়রানি করা হয়। তর্কে জড়ালে প্রক্টর অফিসে ডেকে এনে মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। এরপর পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে মাদকসেবী বলে প্রক্টর অফিসে আসতে বলা হয়। জবি ছাত্রলীগের কমিটির আগে এ ধরণের হেনস্তা বেশি দেখা যেত। এমনকি নোটিশ দিয়ে রাত ৯ টার পর শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালাবদ্ধ করে রাখতেন প্রক্টর মোস্তফা কামাল।

শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক হয়রানি
কমিটি না থাকা অবস্থায় তুচ্ছ ঘটনায় নানা সংগঠনের নেতাকর্মীদের অফিসে ধরে এনে হয়রানি করার ঘটনাসহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রক্টর মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি যাওয়ার সময় সাইড না দেওয়ায় পুলিশর প্রিজন ভ্যানে হামলার অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। অথচ ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার আসামি করা হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এ কাজটিও করেন মোস্তফা কামাল। ওই ঘটনায় আসামিদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি কামরুল হুসাইন। ঘটনার দিন তিনি যশোর ছিলেন।

মারুফ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী অন্য মামলায় কারাগারে থাকলেও ওই ঘটনায় করা মামলায় তার নাম দেন মোস্তফা কামাল। মারুফ বলেন, ঘটনার সময় আমি কারাগারে থাকলেও পুলিশের কাছে আমার নাম দেন মোস্তফা কামাল। ছাত্রলীগ কর্মীদের পছন্দ করেন না তিনি।

এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় উৎসবে (হোলি উৎসব) বাধা, সন্ধ্যার পর ছেলে মেয়ে একসঙ্গে দেখলে প্রক্টর অফিসে ডেকে নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন মোস্তফা কামাল। সাবেক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা-হেনস্তা তো রয়েছেই। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস অবকাশ ভবনে বিকেলের পর তালা দেওয়া, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদানসহ আরও অভিযোগ রয়েছে এ মানুষ গড়ার কারিগরের বিরুদ্ধে।

কম সময়ে পিএইচডি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে জবি প্রক্টর মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে। ডিগ্রি নেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় উপস্থিত একাধিক ডিন ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোস্তফা কামালকে এটি দেওয়ার বিরোধিতা করেন। তবে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান তার নিজ ক্ষমতাবলে তাকে পিএইচডি ডিগ্রি দেন। ডিগ্রি নিয়ে জালিয়াতির এই সংবাদ ওই সময় বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এত অভিযোগের পরও বিকার নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল। সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। ড্রাইভারকে মারধরের ব্যাপারে তিনি বলেন, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

ডাব পাড়ার ঘটনাটি নিয়ে তিনি বলেন, বাইরের কিছু লোক ক্যাম্পাসের ডাব পেড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদেরকে ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কিছু বলা হয়নি।

পিএইচডি জালিয়াতির ব্যাপারে প্রক্টর বলেন, নিয়ম মেনেই সব কিছু করা হয়েছে। অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সবকিছুই মিথ্যা বলে দাবি করেন।

প্রক্টর অফিসের এসব অভিযোগ সম্পর্কে সহকারী প্রক্টররা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকও। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে পারবেন না বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মোস্তফা কামালকে ২০১৯ সালের ২৯ মে প্রথম প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালে ২৪ জুলাই তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পরদিন পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে প্রক্টর হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর দেড় বছর অতিক্রম হয়ে গেলেও প্রক্টরের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন তিনি। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।