ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন, ৪ প্যানেলে এবার নতুন সমীকরণ

হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন, ৪ প্যানেলে এবার নতুন সমীকরণ

শাবিপ্রবি, (সিলেট): প্রথমবারের মতো বুধবার (১৮ জানুয়ারি) চার প্যানেলের ৪৪ প্রার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০২৩। এ নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের চলছে নানা প্রস্তুতি ও  শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণা।



প্রার্থীদের প্রচারণ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর নির্বাচনে স্ব-স্ব পদে জয় পেতে বেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন প্যানেলভিত্তিক প্রার্থীরা।  

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত শিক্ষকদের রুমে কিংবা বাসায় গিয়েও ভোট ও সহযোগিতা চেয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা মেইলের মাধ্যমেও নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন তারা।

এবারের নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে ভিন্ন সমীকরণ হতে যাচ্ছে।  এবারও আওয়ামী মতাদর্শের শিক্ষকদের দুটি প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকরা’ এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক গ্রুপ’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। গত বছরের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেল প্রার্থিতা না দেওয়াই নিজেদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের জের ধরে বিভক্ত হয়ে গঠিত নতুন সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এতে নির্বাচনে ভোটের ব্যালটে বিগত বছরগুলোর মতো হিসাবের সমীকরণে এবার কিছুটা ভিন্নতা আসতে পারে বলেও জানা গেছে।

একমাত্র সম্বল প্যানেলভিত্তিক ভোট

এবারের নির্বাচনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, প্যানেলভিত্তিক ভোটের বলয়ে প্রত্যেক প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারও প্যানেলভিত্তিক ভোট ব্যাংকে তেমন কোনো সমীকরণ নেই। শিক্ষক রাজনীতিতে সব সময়েই প্রার্থিতা বাছাইয়ে মান-অভিমান, সামগ্রিক কার্যক্রমে গ্রুপ লিডার বা সিনিয়র শিক্ষকদের প্রতি অনাস্থা, আঞ্চলিকতা, পদ ও ক্ষমতার প্রতি আকৃষ্টতার কারণে ‘প্যানেলভিত্তিক বন্ডিং’এ চির ধরেছে সব প্যানেলেই।

এ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের ভোট কোনো সমীকরণে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আলোচনা চলছে শিক্ষক মহলে। কেননা ভোটার কম হলেও বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা একটি প্যানেলে নির্বাচন করলে ও এবার নিজেরা অন্তর্কোন্দলের জেরে বিভক্ত প্যানেল দিয়েছেন। বিভক্ত হয়ে নির্বাচন করায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে নিজেরা স্ব-স্ব প্যানেলেই ভোট দেবেন বলেও জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।

পছন্দের প্রার্থীরাই পাবেন ভোট
 
যদিও প্যানেলভিত্তিক ভোটের সমীকরণে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আসেন শিক্ষকরা। তারপরও প্রত্যেক শিক্ষক প্যানেলভিত্তিক ভোটের বাইরেও দল-মত-নির্বিশেষে ব্যক্তি সম্পর্কের জায়গা থেকেও অনেকে ভোট প্রাপ্তির আশা রাখেন। তাছাড়া বিভাগের শিক্ষক হিসেবে সহানুভূতি, ফ্যাকাল্টির শিক্ষক, একই এলাকায় বাসা ইত্যাদির জায়গা থেকে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যায় পরিবর্তন আসে। এবছরও যার ব্যত্যয় ঘটবে না বলে অনেক প্রার্থীর প্রত্যাশা।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারও প্যানেলের বাইরেও ‘ব্যক্তি পছন্দ’ হিসেবে প্রার্থীকে যাচাই করে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন তারা।

উপাচার্যের অদৃশ্য প্রভাব

নির্বাচনেও জয় নিশ্চিত করতে ও নিজের বলয় শক্ত করতে শিক্ষক সমিতির রাজনীতিতে অদৃশ্য প্রভাব থাকে বলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক। তাদের অভিযোগ, গতবার বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের একাংশের সঙ্গে লিয়াজু করে পছন্দের প্যানেলকে উপাচার্য জয়ী করেছিল। এবারও নিজের বলয় শক্তিশালী করতে উপাচার্য লিয়াজু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভিসিপন্থি শিক্ষক ও কুমিলা অঞ্চলের বলয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে নিজেদেরকে আসীন করতে দল-মত-নির্বিশেষে অনেক শিক্ষকই উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেন। এমনকি অনেক সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের বিপরীতে গেলেও উপাচার্যের আস্থাভাজন হয়ে থাকতে এবং ক্ষমতা পাওয়ার জন্য অনেক শিক্ষকই কোনো কথা তুলেন না বলেও একাধিক শিক্ষক মন্তব্য করেছেন।

শিক্ষকের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক উপাচার্যের ইশারায় দল-মত-নির্বিশেষে যেকোনো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয় করতে পারেন। এছাড়া বৃহত্তর কুমিলা অঞ্চলের শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন যারা ভিসির কথামতো পরিচালিত হয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন এ শিক্ষক মহল।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কারোর সঙ্গে আমার বৈরিতা নেই, নির্বাচিত হয়ে যারা আসবেন তাদের সাথেই কাজ করবো। আমি এ ধরনের কথা বা অভিযোগের নিন্দা জানাই।

সিলেটি-নন সিলেটি সমীকরণ

শিক্ষক প্যানেলগুলো প্রতি নির্বাচনে সিলেটি ও নন সিলেটি হিসাব-নিকাশ পর্যালোচনা মুখ্য ভূমিকায় রেখে প্রার্থিতা দিয়ে থাকে। কেননা বিষয়টি দল-মত-নির্বিশেষে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রচার-প্রচারণায় সহায়ক ওঠে প্যানেলের জন্য। এবারের নির্বাচনেও প্যানেল থেকে প্রার্থিতা বাছাইয়ে বিষয়টিও মুখ্য বলে শিক্ষক মহলে আলোচনা চলছে।

সাস্টিয়ান এবং নন সাস্টিয়ান হিসাব-নিকাশ

নির্বাচনে নিজেদের অস্থিত্ব জানান দিতে বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের পৃথক দুইটি প্যানেল অংশ নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় মূলত আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের দুটি প্যানেলের শিক্ষকদের মধ্যে। যদিও আওয়ামীপন্থি শিক্ষক প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’র শিক্ষক সংখ্যা বেশি।  হিসাবে ভোটের সংখ্যা কমতে পারে এবারের নির্বাচনে। যেখানে মূল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে সাস্টিয়ান ও নন সাস্টিয়ান মনস্তাত্মিক অপ্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্ব-স্ব বলয় সক্রিয় রয়েছে ক্যাম্পাসে, যা এবারের নির্বাচনেও প্রভাব রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিভিন্ন শিক্ষক মহল।

সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থিতা

দীর্ঘ ১২ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সবাই আওয়ামী লীগ মতাদর্শের হওয়ায় শিক্ষক সমিতির ১১টি পদে বেশির ভাগই আওয়ামী মতাদর্শের শিক্ষকরাই পালা বদল করে জয়লাভ করে আসছেন।  প্যানেল থেকে শিক্ষকদের বিজয়ী করতে স্ব-স্ব প্যানেল প্রার্থিতা বাছাইয়ে নানা সমীকরণ অনুসরণ করেছে বলে জানা গেছে।

উপাচার্যপন্থি শিক্ষক প্যানেল হিসেবে সমধিক পরিচিত মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক’ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরিসংখ্যান বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন। তিনি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক ও শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে মেডিক্যাল প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছে।

একই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম আমিন (সৈকত)। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ শিক্ষক ছুটিতে ছিলেন। তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ঘিরে সরব হয়েছে।
 
আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের আরেক প্যানেল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকরা’ থেকে সভাপতি প্রার্থী রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শামসুল আলম। তিনি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ ও শিক্ষক সমিতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।   এ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হাকিম। তিনিও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।

সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের অতিরিক্ত পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন, এতে তিনি শিক্ষকদের কাছে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।

‘মু্ক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক গ্রুপ’ থেকে সভাপতি প্রার্থী বাংলা বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম। একই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। উভয় পদপ্রার্থীর ভোট ব্যাংকে নিজ প্যানেলের ভোটের বাইরে ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

জাতীয়তাবাদে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষকরা বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেল থেকে বিভক্ত হয়ে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ নামে নতুন প্যানেল দিয়েছে। এতে সভাপতি পদে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নিজেদের প্যানেলের বাইরেও নতুন প্যানেল হিসেবে কাজ করার প্রত্যয়ে ভোট পাবেন বলে প্রত্যাশা এ প্যানেলের শিক্ষকদের।

এর বাইরে সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, যুগ্ম সম্পাদক প্রত্যেক পদের বিপরীতে চার প্যানেল থেকে চারজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া প্রত্যেক প্যানেল থেকে ৬টি সদস্য পদের বিপরীতে ৬ জন হারে বিভিন্ন বিভাগের মোট ২৪ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সব পদেও প্যানেল ভিত্তিক ভোট ব্যাংক নিয়ে প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তবে এর বাইরেও ব্যক্তি পছন্দ, বিভাগের শিক্ষক, ফ্যাকাল্টির শিক্ষক, আঞ্চলিকতা, সিলেটি-নন সিলেটি এবং সাস্টিয়ান-নন সাস্টিয়ান হিসাব-নিকাশে ভোটের সমীকরণে ভিন্নতা আসতে পারে বলে আলোচনা চলছে।

১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ৪২৪ জন শিক্ষকের ভোটপ্রদানে শেষে সব সমীকরণের হিসাব মিলবে। এদিন রাতেই ভোটগণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হাওলাদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬০ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৩৬ জন লিয়েন, অননুমোদিত অনুপস্থিতি ও শিক্ষা ছুটিতে থাকায় ভোটাধিকার প্রয়োগে প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন।

নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।