ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

পা তুলে বসা নিয়ে শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
পা তুলে বসা নিয়ে শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ছবি: বাংলানিউজ

শাবিপ্রবি (সিলেট): তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ (বুধবার) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নয়াবাজার এলাকায় চায়ের দোকানে পায়ের ওপর পা তুলে বসা নিয়ে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রিশাদ ঠাকুর ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রব নাঈমের কথা কাটাকাটি হয়।  একপর্যায়ে রিশাদ ঠাকুর নাঈমকে থাপ্পড় মারলে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় রিশাদ চোখে আঘাত পান।

পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দু’গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় নাঈমকে মারধর করে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া গ্রুপের অনুসারী ইফতেখার আহমেদ রানা, রিশাদ ঠাকুর ও ইউসুফ আহমেদ টিটুসহ অন্যান্য কর্মীরা। ঘটনার একপর্যায়ে স্টাম্পের আঘাতে মাথা ফেটে যায় সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমানের অনুসারী আব্দুর রব নাঈমের। পরবর্তীতে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা আব্দুর রব নাঈমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে রিশাদ ঠাকুর বাংলানিউজকে বলেন, সকালে একটা ছোট বিষয় নিয়ে এক জুনিয়রের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয়, তখন তিনি সিনিয়রের সঙ্গে বেয়াদবি করেন। পরে বিষয়টি আমার গ্রুপের জুনিয়ররা জানার পর সমাধানের জন্য বসলে তিনি আবারও বেয়াদবি করেন।  এতে একটু হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি দু’গ্রুপের সিনিয়র এবং প্রভোস্টরা বসে সমাধান করে দেন।

ঘটনার বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দোকানে নাস্তা করার সময় একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়। পরে আমরা জানতে পেরে সমস্যাটি সমাধান করে দিয়েছি। এখন আর কোনো ঝামেলা নেই।

সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমার গ্রুপের এক জুনিয়রের সঙ্গে অন্য গ্রুপের এক কর্মীর ভুল বুঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। কি নিয়ে ঝামেলা হইছে সেটা আমি জানিনা। তবে বিষয়টি এখন সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভাস্ট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। তবে যে শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আমরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
জেডএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।