ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা’ পেলেন ১১ গুণী শিক্ষক

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
‘আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা’ পেলেন ১১ গুণী শিক্ষক

ঢাকা: ১১ জন গুণী শিক্ষককে ‘আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা’ দিয়েছে এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ।  

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

 

এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের যুগপূর্তি উপলক্ষে ওয়েবসাইট উদ্বোধন, আলোচনা সভা, সম্মাননা দেওয়াসহ নানা আয়োজন করা হয়।  

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের দক্ষ, যোগ্য, মানবিক এবং সৃজনশীল মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা বদলে ফেলে, সেখানে দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বিকাশ সক্ষম- এমন শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করে, শিক্ষার্থীরা যাতে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে পারে, সেই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  

নৈতিকতা শুধু বই পড়ে অর্জন করার বিষয় নয়- উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি নিয়মিত চর্চার বিষয়। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই আমাদের নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। এথিকস ক্লাব এ বিষয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এথিকস ক্লাবের দায়িত্ববানদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।  

এসময় সম্মাননা পাওয়া শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের সম্মাননা জানানো কতটা মহান কাজ সেটা আমি একজন শিক্ষকের সন্তান হিসেবে খুবই ভালো করে অনুভব করতে পারি। আজকে যাদের এখানে সম্মাননা দেওয়া হলো, তাদের বেশিরভাগই জাতীয়ভাবে অপরিচিত। যারা দৃশ্যমান নয়। তারা অদৃশ্য থেকেই আমাদের সমাজকে পরিবর্তন করে যাচ্ছেন। আমাদের আদর্শ শিক্ষকেরা, এই আদর্শের জায়গা পর্যন্ত আসা তাদের জন্য মোটেই সহজ ছিল না। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে, লোভনীয় প্রস্তাবকে না বলে তারা আজকে এই জায়গাতে এসেছেন। সেই আলোকিত মানুষেরাই আমাদের পথ দেখাচ্ছেন।

সম্মাননা পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক, ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ভারতেশ্বরী হোমসের সাবেক অধ্যক্ষ প্রতিভা মুৎসুদ্দি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। খুলনা জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম, ৫৫নং সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবেরা খানম, ময়মনসিংহের ধলুয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিল্টন মানখিন, নারায়ণগঞ্জের কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি রানী, বান্দরবান বৌদ্ধ অনাথালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাই নু মারমা।  

এছাড়াও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  

ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক বলেন, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আমি এসেছি, তবুও আমি আনন্দিত। আমাদের শিক্ষার মান এমন হয়েছে যে, প্রযুক্তি সামনে যাচ্ছে, আমরা পেছাচ্ছি। শিক্ষার মান ভালো থাকলে দেশ এগিয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের বলব, দিনে যা শিখবে, দিন শেষে নিভৃতে তা চর্চা করবে। পড়তে হবে।  

অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, আদর্শ কিনা জানি না। তবে বুয়েটে পড়ানোর সময় চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীরা যেন বুঝতে পারে। তাদেরকে গল্প দিয়ে বুঝাতাম। এখনও শিক্ষার্থীরা পড়ানোর গল্প করে। আমাকে সম্মানিত করার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এসকেবি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।