ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

বহুত্ববাদী ও বহু সাংস্কৃতিক উপস্থিতি সমাজকে সমৃদ্ধ করে: ঢাবি উপাচার্য

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
বহুত্ববাদী ও বহু সাংস্কৃতিক উপস্থিতি সমাজকে সমৃদ্ধ করে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি: বহুত্ববাদী ও বহু সাংস্কৃতিক উপস্থিতি একটি সমাজকে সমৃদ্ধ করে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেছেন, প্রতিটি ধর্ম, সংস্কৃতি এবং নৃ-তাত্ত্বিক মানুষদের সমন্বয়ে একটি উন্নত, ভালো সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

ওই সমাজ হয় অনেক উদার ও অসম্প্রদায়িক এবং মানবিক। এ ধরনের একটি সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীরা বিশেষভাবে নেতৃত্ব দেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) আন্তধর্মীয় ও আন্ত-সাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহের উদ্বোধনী র‌্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে উপাচার্য এসব কথা বলেন।  

পবিত্র কোরআন ও ত্রিপিটক থেকে উদ্ধৃত করে অধ্যাপক ড.  আক্তারুজ্জামান বলেন, দুইটি ধর্মের এই আলাদা দুটি বাক্য একটি অর্থ বহন করে। তাদের মধ্যে একটা অসাধারণ মিল রয়েছে। গবেষণা ও চিন্তাবিদদের জন্য এটা একটা শিক্ষা। বিভিন্ন ধর্মের এই ঐশি বাণীগুলো যুগে যুগে মানবতার কল্যাণে আবির্ভূত হয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে একটা অসাধারণ মিল রয়েছে। মানুষ পরবর্তীতে শুধুমাত্র উগ্র দৃষ্টিভঙ্গি ও অসহিষ্ণু দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অন্যকে ছোট করে অন্যের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল হয়। এর ফলে নানা ধরনের গোষ্ঠীর জন্ম হয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়।  

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন,  ফেব্রুয়ারি মাসই আমাদেরকে মানবিক, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ শিক্ষা দিয়েছিল।  ফেব্রুয়ারি মাস আমাদেরকে যে শিক্ষা দেয় সেটির সঙ্গে আজকের যে বিশ্ব ধর্ম সম্প্রীতি দিবস তার শিক্ষায় যথেষ্ট মিল রয়েছে। আর তা হলো মানুষ মানুষ হিসেবেই বিবেচিত হবে। মানবিক সম্পর্ক স্থাপন, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানবিক মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ এগুলোই মূলত ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের থেকে উত্থিত মূল্যবোধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এটি গভীরভাবে অনুশীলীত হয়। সেটি আমাদের শিক্ষার্থীকে নানাভাবে উদ্দীপনা দেবে, অনুপ্রাণিত করবে। আজকের এই সম্প্রীতির র‌্যালির মাধ্যমে আমরা একটি বার্তা বহন করতে চাই সেটি হলো আমরা যাতে সারা বছরই এই সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে পারি। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক মানবিক সম্পর্ক স্থাপনের মধ্যে দিয়ে একটি মানবিক এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ‌ করতে পারি যেটি হবে মূলত উন্নত বাংলাদেশের প্রধান চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য।  

বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তপন ডি রোজারিও এর সঞ্চালনায় র্যালিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তধর্মীয় ও আন্ত-সাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্রের পরিচালক ড. ফাজরীন হুদা। এসময় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম সহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য শেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলা ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
এসকেবি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।