ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুলের বেঞ্চ, বইখাতা বেচে দিলেন প্রধান শিক্ষক! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
স্কুলের বেঞ্চ, বইখাতা বেচে দিলেন প্রধান শিক্ষক! 

ফরিদপুর: ফরিদপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের লোহার বেঞ্চ ও বই খাতা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।  

অভিযুক্তের নাম রহিমা খাতুন।

তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় গোপালপুর ইউনিয়নে ৯নং কুচিয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।  

প্রাইমারি শিক্ষা অফিস ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই এ শিক্ষক বেশ কয়েকটি লোহার বেঞ্চ ও বই খাতা বিক্রি করেছেন বলে জানা যায়।

ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কামরুল জামান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কয়েক বছরের পুরোনো কিছু খাতা বিক্রি করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে দু-একটি সরকারি বই থাকতে পারে।

একাধিক সূত্র বলছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টার দিকে দুটি অটোভ্যান বোঝাই করে স্কুলের লোহার বেঞ্চ ও বইখাতা বোয়ালমারি উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন কাটাগড় গ্রামে শুকুর মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অটোভ্যান দুটির একজন চালক বলেন, স্কুলের বেঞ্চ মেরামতের জন্য সহস্রাইল বাজারে রফিকুল ইসলামের দোকানে নেওয়া হয়। স্লিপের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আরও ভ্যান আছে তো, তাদের কাছে থাকতে পারে। আমার কাছে নেই। আমরা ভ্যানচালক এতকিছু বুঝি না।  

অভিযোগের বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন বলেন, ডিপিও স্যার স্কুল ভিজিট করবেন বলে শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে বলেছে। তার ধারাবাহিকতায় কয়েক বছরের এক সেট করে সরকারি বই ও ছাত্র-ছাত্রী মূল্যায়ন পরীক্ষার খাতা এবং বিভিন্ন কোম্পানির গাইড বই বিক্রি করেছি। সামান্য কিছু টাকা হয়েছে, তা দিয়ে ছাত্রছাত্রীর মাঝে পাপড় কিনে খেতে দিয়েছি। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যে কয়জন সেই কয় সেট বই অফিস থেকে আনা হয়। তবে বই বিক্রির প্রশ্ন তো ওঠে-ই না।

তবে স্কুল থেকে পাপড় খাওয়ানো হয়েছে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

এদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ ইসমাইল আলী বলেন, গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাই। তিনি বলেন, ডিপিও স্যার আসবেন এজন্য ছেঁড়া-ফাটা কাগজ ভ্যানওয়ালাকে দিয়ে দিয়েছি। মালামাল বিক্রির কোনো রেজুলেশন হয়নি এবং শিক্ষা অফিস থেকে কোনো আদেশপত্র আসেনি। যদি পাপ করে তার ফল ভোগ করতে হবে।  

উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রীতিকনা বলেন, আপনাদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি, তিনি অস্বীকার করেছেন। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।