ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
জবিতে শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, (জবি): বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে।

তবে এই মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২২টি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছত্রিশটি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট থেকে বর্তমানে পাঠদান হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৫ হাজার ৯৬০জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৬৭৮ জন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২৪। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বাইরে থাকা বিভাগগুলোর মধ্যে কলা অনুষদের আটটি, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের চারটি,বিজ্ঞান অনুষদের একটি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাতটি, আইন অনুষদের দুটি বিভাগ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে।

এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের আইন বিভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে। বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪০। অর্থাৎ, ৫৫৪ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৪ জন। তবে, বিভাগ সংশ্লিষ্টদের দাবি কয়েকজন শিক্ষক বিদেশে যাওয়ায় চিত্রটি এমন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস বলেন, আমাদের বিভাগে সম্প্রতি দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক বাইরে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের বিষয় জানিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের প্রায় একই চিত্র ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগে। এখানে প্রতি ৩৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন মাত্র একজন শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের চার বিভাগের মধ্যে সবগুলোই মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ। এর মধ্যে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে প্রতি ৩৭ জন শিক্ষার্থী জন্য একজন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ৩৬ জনের জন্য একজন, ফিন্যান্স বিভাগে ৩২ জনের জন্য একজন এবং মার্কেটিং বিভাগে ৩১ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক রয়েছেন।

এ ছাড়া যেসব বিভাগে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত নেই, সেগুলো হলো কলা অনুষদের বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, দর্শন বিভাগ, সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগ, বিজ্ঞান অনুষদের পরিসংখ্যান বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অর্থনীতি বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, লোকপ্রশাসন বিভাগ ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

তবে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ফার্মেসি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ। এ বিভাগ দুটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১০। অর্থাৎ প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন এক শিক্ষক।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, তুলনামূলক নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড সব বিভাগে বজায় নেই। আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।