ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দরকার সফট স্কিল: শাবিপ্রবি উপাচার্য

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দরকার সফট স্কিল: শাবিপ্রবি উপাচার্য

শাবিপ্রবি (সিলেট): সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিনিয়োগের বিনির্মাণ করতে চাইলে সবচেয়ে বেশি দরকার ‘সফট স্কিল’। এমন মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন উপাচার্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় এবং সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে আমাদের নতুন উদ্ভাবন যেমন দরকার, তেমনি সবচেয়ে বেশি দরকার সফট স্কিল আর গবেষণা। বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের যে চাহিদা রয়েছে তা পূরণ করে আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমরা তা রেখে কাজ করে যাচ্ছি এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিচ্ছি। আমাদের শিক্ষাকার্যক্রমে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট, আইসিটির দক্ষতাকে মাথায় রেখে সিলাবাস তৈরি করেছি, যাতে শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুত হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এলামনাইরা চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, ডোনেশন ইত্যাদি চালু বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে পারে। এজন্য আমার তাদের ডাটাবেজ নিয়ে এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করছি, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে জেনে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উপকৃত হতে পারবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে উপাচার্য বলেন, অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়ে, তবে তার চাপ সহ্য করতে না পেরে কিংবা শেয়ার না করে সরাসরি আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পড়ে। যেটি তাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা এ চাপকে সমাধান করতে পারলে জীবনে সফল হতে পারবে। এজন্য তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেওয়া হচ্ছে।
 
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তাই তাদের মেধাবী ও যোগ্য করে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। তারা এখান থেকে যে শিক্ষা নিবে সেটার উপর ভিত্তি করে সত্যিকার মেধাবী, যোগ্য, ও দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ হয়ে গড়ে উঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে আমাদের মেডিকেলের বেহাল দশা ছিল, ভালো ওষুধ ছিলো না, তাই শিক্ষার্থীরা ভালো সেবা পেত না। তখন সাংবাদিকরা নিউজ করার ফলে বিষয়গুলো আমাদের নজরে আসে। আমরা তা সমাধান করে দিয়েছি, এখন কেউ মেডিকেল নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না। বর্তমানে আমরা মেডিকেল সেন্টারকে অত্যাধুনিকরূপে সাজিয়েছি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারগুলোর মধ্যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার অন্যতম।

এপিএ মূল্যায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা গতবছর এপিএ মূল্যায়নে আমাদের কাজের ডাটাগুলো জমা দিতে পারিনি। ফলে আমরা অনেক নিচের অবস্থানে ছিলাম। তবে এবার আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি, এটা নিয়ে কাজ করেছি। এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবে।

কর্মশালায় ই-গভার্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং এপিএ কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিফতাউল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী আবুল আনাম রাশেদ।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইবার সিকিউরিটি, সাস্ট ই-পোর্টাল, ইউনিভার্সিটি অটোমেশন সফটওয়্যার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাপোর্ট সিস্টেম, সাস্ট, ই পেমেন্ট, ই লাইব্রেরি, পিজিক্যাল এলিমন্ট, শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

কর্মশালায় শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন, সেন্টার অব এক্সিলেন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানরা, হল প্রভোস্টরা, দফতর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।