ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আমরণ অনশনে জাবির অস্থায়ী কর্মচারীরা

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
আমরণ অনশনে জাবির অস্থায়ী কর্মচারীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা।

সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে কাফনের কাপড় পরে দ্বিতীয় দিনেও অনশন করেন কর্মচারীরা।

এর আগে রোববার (৩০ জুলাই) প্রথম দিনের অনশন শুরু করেন তারা।  

এর আগে গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা। টানা ১৩ দিন অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তারা।  

আন্দোলনরত একাধিক কর্মচারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। তাদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়, যা বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খুবই স্বল্প। এতে করে তারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

জানা যায়, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমরা তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছে কর্মচারীরা। একই দাবিতে মানববন্ধন করা হলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অস্থায়ী কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন। সবশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন কর্মচারীরা। তখন প্রশাসন ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোয় নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেন। তবে ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেন কর্মচারীরা। কিন্তু অবস্থান ধর্মঘটের পরেও প্রশাসন দাবি না মেনে নেওয়ায় অনশনে বসেছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের শামসুল আলম বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কয়েকবার দাবি জানিয়েছি। তারা প্রতিবার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন করেনি। আমরা গত ১৩ দিন যাবত অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। এবার আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। এবার আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাবো না। হয় চাকরি হবে, নয়তো এখানে আমাদের মৃত্যু হবে। আমরা আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করার দাবি জানায়।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে নেওয়া হয়। ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দীর্ঘ সময় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের মধ্যে থেকে ধাপে ধাপে চাকরি স্থায়ী করার জন্য অনুরোধ করে। ইউজিসির চেয়ারম্যান কয়েকটি পদ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে চেয়ারম্যান ইউজিসির বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।