ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিএনজিতে বসা নিয়ে শাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩
সিএনজিতে বসা নিয়ে শাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

শাবিপ্রবি (সিলেট): সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।

আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ আহমেদ, রাতুল এবং হাবিবুর রহমান আসিফ। সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তারা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র সিএনজিতে বসাকে কেন্দ্র করে নগরীর আম্বরখানায় তর্কে জড়ায়। এরই সূত্র ধরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে আবারও তর্কে জড়ান তারা। একপর্যায়ে সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান ও উপদপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সজীবুর রহমানের অনুসারীরা ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষে জড়ান।  

এ ঘটনায় সজিবুর রহমানের তিন কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ফিরে শাহপরাণ হলে এসে আবারো তর্কে জড়ায় দুই পক্ষ।  

হামলাকারীদের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. তারেক রহমান, নূর মোহাম্মদ শৈশব, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সজীব নাথ, একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিয়াম খান, মো. ফাহিমসহ অন্যরা ছিলেন। তারা খলিলুর রহমানের অনুসারী বলে পরিচিত।

ঘটনার বিষয়ে মারুফ আহমেদ বলেন, প্রধান ফটকে কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা চলছে এমন পরিস্থিতি দেখে সেখানে গিয়েছিলাম। পরে পরিচিত কয়েকজনকে দেখে ঘটনা সম্পর্কে জানি। তখন একজন আমার বন্ধুকে তুই কে বলে গালিগালাজ করে মারতে আসে। আমি প্রতিহত করতে গেলে তারেক ও শৈশব আমাকে লাথি মারে, মারধর করে। তখন কেউ একজন আমাকে শক্ত কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আমি সেন্স হারিয়ে ফেলি।

শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, ঘটনাটি হলের কোনো ঘটনা নয়। ঘটনার সূত্রপাত হয় নগরীর আম্বরখানায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে তর্কে জড়ায়। ঘটনা শুনে সবাইকে ডেকে তা সমাধান করে দিয়েছি।

প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩
এসএএইচ  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।