ঢাকা: আড়ম্বরপূর্ণ এক আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)।
প্রতিষ্ঠানটিতে ৩০টির বেশি দেশের শিক্ষক রয়েছেন, যারা ভবিষ্যতের বিশ্বকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে নিবেদিতভাবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।
আইএসডির সেকন্ডারি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য শিক্ষার্থীরা দিনটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। স্কুলের সেকন্ডারি ভবন সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি শিক্ষকদের ধন্যবাদ বার্তা লেখার মাধ্যমে শুরু হয় দিনটি। শিক্ষকদের পোশাক রীতি অনুকরণ করে তাদেরকে সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়েছে ‘ড্রেস লাইক ইওর ফেভারিট টিচার ডে। ’
এছাড়া শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সেকন্ডারি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টিমের পক্ষ থেকে সেকেন্ডারি স্কুলের সকল শিক্ষককে একটি করে ব্যক্তিগত ‘নোট অব অ্যাপ্রেসিয়েশন’ প্রদান করা হয়।
“আইএসডি সেকন্ডারি স্কুলের দুর্দান্ত এই শিক্ষকদের সাথে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করি। আমাদের নবীন শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রতিদিনই তারা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছেন। আমাদের শিক্ষকরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুপ্রেরণা যোগান। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে তাদের এই কঠোর পরিশ্রমকে সম্মান জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। ” বলেন, আইএসডির সেকেন্ডারি প্রিন্সিপাল ক্রিস বয়েল।
স্কুল সমাবেশের সময়ে শিক্ষকতা নিয়ে কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে এই দিনটি পালন করে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তৃতা প্রদান করে স্কুলের সিনিয়র হেডরা। সবশেষে ঐতিহ্যবাহী নাস্তার আয়োজনের সাথে অনুষ্ঠানের এই অংশের সমাপ্তি ঘটে।
আইএসডির প্রাইমারি প্রন্সিপাল ডেভিড লংওয়ার্থ বলেন, “শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে সকল শিক্ষকদেরকে সাধুবাদ জানানোর ক্ষেত্রে বিশ্ব শিক্ষক দিবস একটি স্মরণীয় দিন। নিজেদের প্রতিভা ও মহৎ উদ্দেশ্য পূরণে শিক্ষকরা যেনো নিবেদিতভাবে কাজ করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে তাদের আমাদের সমর্থন ও সম্মান দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পুরো স্কুলের জন্যই আস্থার জায়গা হচ্ছেন শিক্ষকরা। ”
পরে মূল প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশমুখে একটি বড় ডিসপ্লে বোর্ডে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা বার্তা প্রদান করা হয়। এ সময় সেখানে স্কুলের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন এবং স্কুলের সবাইকে শিক্ষকদের প্রতি সম্মাননা জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
আইএসডির পরিচালক স্টিভ ক্যালান্ড-স্কবল বলেন, “আইএসডি তে আমরা বিশ্বাস করি স্কুলের সাফল্যের পেছনে শিক্ষকরাই আমাদের মূল চালিকাশক্তি। স্কুল এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে স্বশরীরে উপস্থিতি ও অনলাইন কর্মশালার মাধ্যমে আমরা আমাদের শিক্ষকদের বিকাশের সুযোগ দিয়ে থাকি। এছাড়া আমরা আমাদের শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করি, যেখানে ‘ক্রিটিকাল থিংকিং’ ও ‘আত্ম-প্রতিফলন’ -এর মতো বিষয়ে শিক্ষকদের উৎসাহিত করা হয়। পাশাপাশি, শিক্ষকদের যেনো ধারাবাহিক বিকাশ ঘটে এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা হয়। এছাড়া শিক্ষকদের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেশন এবং ডিগ্রি প্রোগ্রামেরও ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষার্থীদের জীবন বদলে দিয়ে বিশ্বকে একটি ভালো জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা শিক্ষকদের কাজ ও অধ্যবসায়কে উদযাপন করার দিন আজ – বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৩
নিউজ ডেস্ক